প্রানের স্পন্দনের খোঁজে সাভারে ধসে যাওয়া রানা প্লাজায় টানা চতুর্থ দিনের মতো সংবেদনশীল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন উদ্ধার কর্মীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শনিবার ২৬ জনকে জীবিত উদ্ধারে সমর্থ হয়েছেন তারা।
ভবন ধসের ৭৯ ঘন্টা পর শনিবার সন্ধ্যায় আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত মানুষ থাকার সম্ভাবনা যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবেনা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপে একজনও জীবিত থাকা অবস্থায় ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবেনা।
উদ্ধারকাজে মনিটরিং করার জন্য বসানো অস্থায়ী মিডিয়া সেলের পাশ্ববর্তী ছাদে সেনাবহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ ও আইএসপিআর এর পরিচালক শাহিনুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআর কর্মকর্তারা জানান, ভবনের ধ্বংসস্তূপের চারপাশ দিয়ে ২৫ টি ছিদ্র করা হয়েছে। যেগুলো দিয়ে উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে অবিরাম।
রাতেও এ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধারকারীরা কাজের সুবিধার জন্য সাদা চশমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করছে।
সম্মেলনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার অভিযানে জনসাধারনের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। যদি কোনো স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী প্রয়োজন হয়, তবে আমরা তাদেরকে ডেকে নেবো।
যতো সময় অতিবাহিত হচ্ছে ততোই মৃত মানুষের লাশে পঁচন ধরে পুরো এলাকায় গন্ধ ছড়াচ্ছে। এজন্যই সতর্কতামূলকভাবে এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশবাসী ও গণমাধ্যমকে সার্বক্ষনিক পাশে থাকার জন্য এ সময় ধন্যবাদ জানানো হয়।
তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছ ও সম্মিলিতভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি।
আইএসপিআর এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপ থেকে সর্বমোট ৩৬১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৩৪৮টি লাশ। এবং দুই হাজার ৫শ’র বেশি ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ জনকে। এরমধ্যে ১৮ জনের লাশ এবং ২৯ জন জীবিত মানুষকে বিভিন্ন হসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।