parbattanews

জীবন বাজি রেখে ইয়াবা বন্ধ করাই আমার মূল লক্ষ্য: বদি

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

‘জীবন বাজি রেখে ইয়াবা বন্ধ করাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। ইয়াবার দুর্নাম নিয়ে আর বেঁচে থাকতে চাই না। উখিয়া-টেকনাফকে ইয়াবামুক্ত করা এখন আমার প্রধান কাজ।

সোমবার(১৪ জানুয়ারি) টেকনাফে পুলিশের সাথে ইয়াবার বিরোধী অভিযানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন কক্সবাজারের সাবেক সাংসদ বদি।

তিনি বলেন, যেখানে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা ঘটবে, সেখানে জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণকে নিয়ে আমি ছুটে যাব। কেননা, ইয়াবামুক্ত টেকনাফ গড়তে হলে ইয়াবার প্রকৃত মালিককে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিজিবির হাতে উদ্ধার ইয়াবার মালিক ও চালকের নাম বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তাদের ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।

কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবার প্রকৃত মালিককে খুঁজতে মাঠে নেমেছেন স্থানীয় সাবেক সাংসদ বদি।

রোববার(১৩ জানুয়ারি) টেকনাফে বিজিবি ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবাসহ অটোর রিকশা জব্দ করে। পরদিন সোমবার(১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ওই ইয়াবার প্রকৃত মালিককে খুঁজতে পুলিশের সাথে মাঠে নামেন বাদি।

সোমবার বিকেলে বদি পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও টেকনাফে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে টেকনাফ পৌরসভা ও সাবরাং ইউনিয়নের অটোরিকশার স্টেশনে তল্লাশি চালান। তিনি অটোরিকশার মালিক ও চালকের খোঁজ করেন।

‘অভিযানের’ সময় বদির সঙ্গে ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহামদ, সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন, টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল্লাহ মনির প্রমুখ।

এর আগে রোববার ভোরে টেকনাফের সাবরাং আলীর ডেইল এলাকা থেকে বিজিবির সদস্যরা ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করেন। এ ঘটনায় বিজিবি উদ্ধার করা ইয়াবা ব্যাটালিয়নে জমা রেখে অটোরিকশাটি টেকনাফ শুল্ক বিভাগে জমা দেয়।

প্রসঙ্গত, ইয়াবার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বদি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাননি বলে প্রচলিত রয়েছে। এ আসনে (কক্সবাজার-৪) এবার সাংসদ হয়েছেন তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার।

Exit mobile version