জেএসএস’র ‘হাটবাজার বর্জন’র প্রতিবাদে পার্বত্য নাগরিক ও বাঙালী ছাত্র পরিষদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সম্প্রতি রাঙামাটি ও বান্দরবানে জনসংহতি সমিতির হাটবাজার বর্জন কর্মসূচীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ইঞ্জি:আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় মহাসচিব এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাব্বির আহম্মদ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জাহান খান ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছাদেকুর রহমান।

শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এবং পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জনসংহতি সমিতির চক্রান্তমূলক এসব কর্মসূচীকে বয়কট করে তাদের চক্রান্তকে নস্যাত করে দেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণকে আহবান জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উপজাতীরা আজ বিষধর সাপের মত ফনা তুলছে। এখনই তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে না দিলে, তাদের প্রভুদের সমূচিত শিক্ষা না দিলে ভবিষ্যতে জাতিকে তার মাসুল গুনতে হবে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বীর বাঙালদিরে প্রতিবাদের কারণে প্রথম আলো পত্রিকা তার ভুল স্বীকার করেছে এবং বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নাই তাও স্বীকার করতে বাধ্য হয়ছে। প্রথম আলো পত্রিকার অনেক সময় পর হলেও শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার জন্য, সত্যকে সত্য মিথ্যাকে মিথ্যা বলার মত সৎ সাহস দেখানোর জন্য, রাস্ট্র, সংবিধান, জনগণের মতামতকে সম্মান দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আদিবাসী শব্দটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিষফোঁড়া ধীরে ধীরে সবাই তা বুঝতে শুরু করেছে । পত্রিকাটি র্পাবত্য এলাকা সর্ম্পকে সত্য, সঠিক এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষা, উপজাতি সন্ত্রাসীদরে জুম্মল্যান্ড গঠনরে ষড়যন্ত্র বিনষ্টের ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে নেতৃবৃন্দ আশা ব্যক্ত করেন।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, সন্তুবাহিনী রাঙ্গামাটিতে গত ১০ই জানুয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনকে চ্যালেঞ্জ করে পুরো রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে তাণ্ডবের সৃষ্টি করে। তার ধারাবাহিকতায় ১৪ জানুয়ারী রাঙ্গামাটি শহরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বাঙ্গালীদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে তাণ্ডবের পাঁয়তারা চালায় । আইন শৃংখলা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, ব্যাংক-বীমা ও মসজিদে ভাঙচুর করে।অথচ বাঙ্গালীদের এ অসহায় অবস্থায় প্রশাসন উপজাতি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো বাঙ্গালীদের বাড়িঘরে তল্লাসী চালিয়ে বাঙ্গালীদের হয়রানী করেছে।

নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এখানেই শেষ নয় , পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল এবং অশান্ত করার হীন চক্রান্তে জনসংহতি সমিতি ২৯ জুলাই’১৫ রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় হাটবাজার বর্জন কর্মসূচী প্রদান করে, বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যেখানে সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে আন্তরিক সেখানে জনসংহতি সমিতির এহেন কর্মসূচী পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল ও পাহাড়ি বাঙালির মাঝে অবিশ্বাস, দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগানোর উস্কানি দিয়েছে।

তারা অারো বলেন, গত সোমবার রামগড় উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের হাতিমূড়া এলাকায় উপজাতি সন্ত্রাসী কতৃক বাঙ্গালীদের ঘরবাড়ীতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।এর পরে গত ১৫ই আগস্ট বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর উপর উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ৫জন অস্ত্রধারি নিহত হয়। এজন্য নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের বীর সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন