parbattanews

জেএসএস কর্মী কোকো নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের

জেএসএস কর্মী নিহতস্মৃতিময় চাকমা (কোকো)

রাঙামাটির বরকল উপজেলার সুবলং এলাকায় এমএন লারমা গ্রুপের (সংস্কারপন্থী) কর্মী স্মৃতিময় চাকমা ওরফে কোকোর নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার(২৯জুন) বরকল থানায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কামাক্কুছড়ার বাসিন্দা প্রীতিময় চাকমা বাদী হয়ে ৬০ জনের নামসহ আরও ১০ থেকে ১৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরকল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ০৪।

জানাযায়, মামলায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রণতি বিকাশ চাকমাকে এক নম্বর আসামি করে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে উল্রেখযোগ্য রয়েছেন জনসংহতি সমিতির নেতা গুনেন্দু বিকাশ চাকমা, মঙ্গল কুমার চাকমা, নব বিকাশ চাকমা(নবীন), উদয়ন ত্রিপুরা, নিলোৎপল খীসা, কিশোর কুমার চাকমা, ধীরাজ চাকমা, সুভাষ বসু চাকমা(জার্নাল), সুঅতীশ চাকমা(তন্টু মনি), ফরেন চাকমা, বিধায়ক চাকমা, শরৎজ্যোতি চাকমা, রুপক চাকমা, সুর্বন চাকমা, ধীর কুমার চাকমা, পুলিন চাকমাসহ আরো অনেকে। এছাড়া মামলায় আরও ১০ থেকে ১৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে রাঙামাটি শহর থেকে একটি কংকর বোঝায় দুটি ট্রলার সুবলং বাজার হয়ে লংগদুর উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় এমএন লারমা গ্রুপের (সংস্কারপন্থী) সদস্যরা সুবলং বাজারের মাজারের ঘাটে ভিড়ানোর জন্য নির্দেশ দেয়। এতে চালক ট্রলার বোট না থামিয়ে চলে যায়। পরে সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতির সদস্যরা দুটি স্পিড বোট নিয়ে দুটি ট্রলারে বোটকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ওই দুটি ট্রলার বোটকে লক্ষ্য করে গুলি করে।

এসময় আমবাগান নামক এলাকায় ওৎ পেতে থাকা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির কর্মীদের সাথে অন্ততপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতির স্পিড বোট চালক কোকো চাকমা নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। বিকালে কোকোর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বরকল মডেল থানার ওসি মফজল আহম্মদ খান সত্যতা স্বীকার করে জানান, শনিবার ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ১৫ থেকে ২০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Exit mobile version