parbattanews

জৌলুস হারিয়েছে পানছড়ি কামার পল্লী                    

 

পানছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার কামার পল্লীতে নেই আর আগের জৌলুস। ভোর রাত থেকে লোহাকে আগুনে পুড়ে লাল করে হাতুড়ি পেটার টুং টাং শব্দে ঘুম ভাঙতো পানছড়ি পুরনো বাজারের আশে-পাশের এলাকায় বসবাসকারীদের।

কিন্তু এখন সেই দিন ফুরিয়ে গেছে। “দাদা আগের জৌলুস আর নেই” ভারাক্রান্ত মনে এসব কথা এ প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন রাবন বনিক, অনিল কর্মকার, সনজিৎ কর্মকার, অরুণ কর্মকার, রবীন্দ্র কর্মকার, মিলন কর্মকার  ও সাগর বনিক। তারা তুলে ধরেন অতীতের কোরবানীর ঈদের আগের চিত্র। ছুরি, দা, দামা, চাপাতি ও কুড়ালসহ নানা লোহার তৈরী জিনিস পত্রাদির চাহিদা ছিল প্রচুর। কেউবা স্প্রিং লোহা কেউবা কাঁচা লোহার তৈরী মালামাল পছন্দ করত। তবে স্প্রিং লোহার তৈরী জিনিসের দামও একটু বেশী মানেও ভাল।

বিগত দিনে ঈদের এক মাস আগ থেকেই নির্ঘুম রাত কাটাত কামার পল্লী, পাশাপাশি বেচাকেনা ছিল সীমাহীন। কিন্তু ডিজিটাল মেশিনের ছোয়ায় হাতে তৈরী জিনিসের চাহিদা এখন মৃতপ্রায়। এ কারণে অনেকে ব্যবসাও গুটিয়ে নিয়েছে। আগে পানছড়ি কামার পল্লীতে দোকান ছিল প্রায় ২০টির মত। বর্তমানে রয়েছে ৭টি। তবে তাদের দাবী কামারের হাতে তৈরী জিনিস ১০/১৫ বছর ধরে ব্যবহার করা গেলেও বর্তমানে ডিজিটাল মেশিনে তৈরী লোহার জিনিস ২/৩ বছরের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়।

দিন যত ডিজিটালের দিকে এগুচ্ছে পানছড়ি কামার পল্লী আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাবে বলেও তারা আগাম ধারণা দেন।

Exit mobile version