parbattanews

ঝুঁকির মুখে রোহিঙ্গা ক্যাম্প জরুরী সেবা ছাড়া ক্যাম্পের সব কার্যক্রম স্থগিত

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরী সেবা ছাড়া সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে আরআরআরসি কর্তৃপক্ষ।

বুধবার(২৫ মার্চ) থেকে জরুরী স্বাস্থ্যসেবা সচল থাকলেও বন্ধ থাকবে ক্যাম্পের যাবতীয় কার্যক্রম।শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মাহবুবুল আলম তালুকদার সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে রোহিঙ্গাদেরও দেশ মিয়ানমারে দুই জন নভেল করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।

এতদিন পর্যন্ত মিয়ানমারই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্র। যারা বলে আসছিল তাদের দেশে কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত নেই।

চীনের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত থাকার পরও এমন দাবি করছিল তারা। যে চীনের উহান শহর থেকেই প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে।

মিয়ানমারে করোনা রোগী শণাক্ত হওয়ায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। ফলে ৩৪টি ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গারাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও কল্প কাহিনী নিয়ে অজানা আতংকে দিনাতিপাত করছে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়। সচেতনতার অভাবে রোহিঙ্গারা করোনা প্রতিরোধে যথাযথ প্রস্তুতি নিতেও পারছেনা।

এইদিকে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনার সর্বশেষ অবস্থা, করোনা প্রতিরোধে কী করণীয়, করোনার লক্ষণ কি কি? করোনার উপসর্গ দেখা দিলে কী করতে হবে? এসব বিষয়ে রোহিঙ্গাদের ন্যূনতম ধারণাও নাই।

রোহিঙ্গাদের সূত্র জানায়, ঘিঞ্জি ক্যাম্পের ভেতর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাসস্থান। প্রতিটি স্যাঁতসেঁতে ঘরে প্রায় ৮ থেকে ১৫ জন রোহিঙ্গা বসবাস করে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই ক্যাম্পে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে এর চেয়ে ভয়াবহ আর কিছু হবেনা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাথে লাগোয়া স্থানীয় বাঙ্গালিদের গ্রামগুলো। ফলে গ্রামবাসিরাও ঝুঁকিমুক্ত নয়।

এইদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় বাড়ি ফিরছে চাকুরিজীবীরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনসমাগম বন্ধসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জরুরী সেবা ব্যতীত সব কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

অপরদিকে কক্সবাজার জেলায় ১ম করোনা রোগী শণাক্ত হয়েছে গত মঙ্গলবার। আইইডিসিআর’র টেস্ট রিপোর্ট অনুসারে সৌদি ফেরত এক বৃদ্ধার দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা গেছে। ওই রোগীকে পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) ছাড়া সেবা দেওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ অন্তত ২২ জন। তাদের হোম কোয়ারেন্টোইনে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৩৯ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শণাক্ত হয়েছে। তৎমধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ্য হয়েছে ৫ জন। বাকীরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আইসোলেশানে ৪০ জন ও কোয়ারেন্টাইনে আছে প্রায় ৭ হাজার।

Exit mobile version