টংকাবতী ইউনিয়নে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব: হারিয়ে যাচ্ছে পানির উৎসস্থল
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্রীস্মকালে পানি সংকটের ভরা মৌসুমে চলছে বান্দরবানের টংকাবতী ইউনিয়নে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। বান্দরবান সদর উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা টংকাবতী ইউনিয়ন। এলাকায় অধিকাংশ ম্রো জাতির বসবাস। সারা ইউনিয়নে হাতে গোনা কয়েকটি গভীর নলকূপ পাওয়া মুসকিল। যে কয়টি আছে তাও আবার প্রায় অচল। স্থানীয়দের পাহাড়ের ঝিরির পানিই এক মাত্র ভরসা। পাথর উত্তোলনের কারণে পানির উৎসস্থল ঝিরিগুলো পড়েছে হুমকির মুখে।
পাথর খেকো লামার এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন ও লোহাগড়ার মো. রহিম কোম্পানির নেতৃত্বে চলছে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। পাথর খেকোদের কেরানী রফিকের নির্দেশনায় পাহাড়ের ঝিরি বেয়ে রাস্তা তৈয়ার করে ৮/১০ মাইল ভেতর থেকে ট্রাকযোগে পরিবহন করে টংকাবতী ফরেস্ট চেকপোষ্ট সংলগ্ন মাজারের টেকে হাজার হাজার ঘনফুট মজুদ করেছে।
এলাকাবাসী মাইকেল ম্রো বলেন, গ্রীস্মকালে এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পানির উৎসস্থলগুলো থেকে পাথর উত্তোলনের ফলে কয়েক বছরের মধ্যে এলাকায় পানি সংকট দেখা দিবে। তখন পানি সংকটের কারণে জীবন বাঁচাতে এলাকাবাসী এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে চলে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।
সরজমিনে দেখাযায়, টংকাবতী ইউনিয়ন অফিস সংলগ্ন ঝিরিপথ দিয়ে ট্রাক যোগে আনা হচ্ছে পাথর আর পাথর। পাথর গুলো টংকাবতী বন রেঞ্জ পার করে সমতল এলাকার মাজারের টেক এলাকায় মজুত করা হয়েছে।
টংকাবতী বন রেঞ্জের এক কর্মচারি জানান, পাথরগুলোর পারমিট আছে। এইগুলোর মালিক লামার এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন ও লোহাগড়ার মো. রহিম কোম্পানি।
জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, গত ছয় মাসে পাথরের কোন পারমিট ইসু করা হয় নাই। অভিযোগের ভিত্তিতে পাথরগুলোর বৈধতা যাচাই করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।