parbattanews

টাইগারদের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে

ডেস্ক রিপোর্ট:

রেকর্ডের ছড়াছড়ি আর ব্যক্তিগত অর্জনের মাইলফলক স্পর্শ করার দিনে টাইগাররা এতোটাই আধিপত্য চালিয়েছে যে, একবারের জন্যও জিম্বাবুয়ে মাথা তুলতে পারেনি। সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল গত ম্যাচেই। শেষ ওয়ানডের জয়টা তাই বাংলাওয়াশের লজ্জাই দিয়েছে হ্যামিলটন মাসাকাদজার দলকে। বাংলাদেশ জিতবে এটা অনুমিতই ছিল। তবে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার যে উচ্চতার ব্যাটিং নৈপুণ্য প্রদর্শণ করলেন, তা বহুদিন মনে রাখবে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সফরকারীদের দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যকে এই দুই ব্যাটসম্যানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে টাইগাররা টপকে গেছে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। ফলে ৭ উইকেটের স্মরণীয় জয়ে শেষ হল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এই দুই টাইগার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান গড়লেন ২২০ রানের উড়ন্ত এক জুটি। এই অসাধারণ জুটি মাশরাফিদের ২৮৭ রানের কঠিন জয়ের লক্ষ্যও সহজ করে দিলো।

দ্বিতীয় উইকেটে এই ২২০ রানের জুটি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ এবং যেকোনো উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ৫ম উইকেটে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ২২৪ রান বাংলাদেশের যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।

জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১ রানে লিটন দাস জারভিসের বলে ০ রানে ফিরলেও আগ্রাসী ব্যাটিং তত্ত্ব থেকে বেরিয়ে আসেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ। জার্ভিস, রাজা, উইলিয়ামস, মাসাকাদজাদের বল রীতিমত তুলোধুনো করে সৌম্য সরকার তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। তবে শেষ পযর্ন্তে উইকেটে থাকতে পারেননি। ১১৭ রানে হ্যামিলন্টন মাসাকাদজার বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ত্রিপিয়ানোর হাতে। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ তখন ২২০।

ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা ইমরুল কায়েসও তুলে নিয়েছেন চতুর্থ ওডিআই সেঞ্চুরি। এই ম্যাচ দিয়েই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তামিম ইকবালের ৩১২ রানের রেকর্ডটি ভেঙেছেন ইমরুল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯০ রান করা এই টাইগার ওপেনার চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রান।

মূলত সৌম্য-ইমরুলের ব্যাটেই এখন প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।

ম্যাচের শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট খরচায় সফরকারীরা ২৮৬ রান সংগ্রহ করে।

Exit mobile version