parbattanews

টার্কি পালনে সফলতার মুখ দেখছেন মানিকছড়ির‘জামাল উদ্দীন মৃধা’

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

মো. জামাল উদ্দীন মৃধা(২৮)। নিজ উদ্যোগে সফলতার স্বপ্নে দু’টি টার্কি ক্রয় করেন মৃধা। শুরু করেন লালন-পালন। গত এক বছরে টার্কি পালনে ৩ লক্ষাধিক টাকা আয়সহ বর্তমানে ৩শতাধিক টার্কি রয়েছে তাঁর ক্ষুদ্র খামারে।‘টার্কি’র ডিম ও মাংস বাজারজাতকরণে এখনো পর্যাপ্ত গ্রাহক সৃষ্টি না হওয়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে!

মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার মো.নেছার উদ্দীন মৃধার ছেলে মো. জামাল উদ্দীন মৃধা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। জীবিকার তাগিদে সে পাহাড়ে ছড়াকঁচু চাষ, আম বাগান, আনারস বাগান সৃজনসহ মৌসুমি ব্যবসা-বানিজ্য ছিল আয়ের একমাত্র উৎস।

গত ২০১৭ সালের আগস্টে বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ একটি প্রতিবেদন দেখেন মো. জামাল উদ্দীন মৃধা। প্রতিবেদনে উঠে আসে একজন সফল টার্কি ব্যবসায়ীর সফলতার বাস্তবচিত্র। ওই প্রতিবেদন দেখে মো. জামাল উদ্দীন মৃধা টার্কির সন্ধানে বের হন এবং চট্টগ্রাম থেকে দু’টি টার্কি ক্রয় করেন। ৪ মাস বয়সী একটি টার্কি টানা ৬০ দিন ডিম দিয়েছে। এর পর এক থেকে দেড় মাস পর আবার টানা দু’মাস ডিম দেয়। ও থেকেই মো. জামাল উদ্দীন মৃধা’র সফলতার যাত্রা শুরু।

২ অক্টোবর সকাল ১০টায় সরজমিনে কথা হয় ক্ষুদ্র খামারী মো. জামাল উদ্দীন মৃধার সাথে। সে জানায়,মাত্র ২টি টার্কির ডিমে বর্তমানে তাঁর খামারে( ফার্মে) ৩ শতাধিক টার্কি রয়েছে। এর মধ্যে ডিম দিচ্ছে গড়ে ৫০টি। ৩টি মহিলা টার্কির সাথে ১টি পুরুষ টার্কি সংমিশ্রণে রাখা হলে সকল ডিমে শতভাগ বাচ্চা পাওয়া সম্ভব। একটি সুস্থ টার্কি ৩-৪ বছর পর্যন্ত ডিম দেয়। আর ওইসব ডিম মেশিনের মাধ্যমে বাচ্চা ফুটাতে হয়।

গত এক বছরে তার ৩ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়েছে। তবে টার্কি সর্ম্পকে এখনো পর্যাপ্ত প্রচারণার অভাব এবং ক্রেতা সংকটে উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না। একটি পূণঃবয়স্ক টার্কির গড়ে ওজন ৮-১০ কেজি। মাংস কেজি গড়ে ৫শত টাকা, ডিম (একটি) ১০০-১২০ টাকা, বাচ্চা (১ মাস বয়সী) ৩০০-৩৫০টাকা। ইতোমধ্যে চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলায় ক্ষুদ্র খামারীরা এখান থেকে ডিম ও বাচ্চা সংগ্রহ করেছেন।

Exit mobile version