parbattanews

টি-টোয়েন্টিতে নিজ ঘরে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করলো পাকিস্তান

ঘরের মাঠেও ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে থাকলো বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের এক ম্যাচেও জয় মুঠোবন্দি করতে পারেনি টাইগাররা। তাই তো ২০১৮ সালের পর আবারও ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল বাংলাদেশ। সর্বশেষ চলতি বছরের নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এছাড়াও ২২ রান করেন তিনে নামা শামীম এবং ২০ রান করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। পাকিস্তানের হয়ে দুইটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র এবং উসমান কাদির।

১২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম মিলে পাওয়ার প্লেতে সংগ্রহ করেন ২৮ রান। পাওয়ার প্লেতে রান পেতে সংগ্রাম করলেও পরে উইকেটে নিজেদের মানিয়ে নেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। অথচ বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটে বল পেলেও এ সুযোগের সদ্বব্যবহার করে স্কোর বোর্ডে রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।

ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে বোলিং নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন পেসার তাসকিন আহমেদ। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে নিজেই ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙ্গুলে ব্যথা পান তাসকিন। ওভার শেষ না করেই মাঠে ছাড়েন তিনি। ওভারের বাকি পাঁচ বল করেন অভিষিক্ত পেসার শহীদুল ইসলাম।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টির মতো তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে বেশ চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। দশম ওভার পর্যন্ত প্রতিপক্ষের উপর এ চাপ ধরে রাখেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাই তো প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। তবে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদেরকে নিয়মিত বিরতিতে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠাতে না পারার ব্যর্থতায় ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।

সপ্তম ওভারে বোলিং আক্রমণে আসেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। দলকে প্রথম সাফল্যও এনে দেন এ লেগ স্পিনার। বিপদজনক হয়ে উঠার আগেই পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে ফিরিয়ে দেন তিনি। দলীয় ৩২ রানে ফিরে যান তিনি। ম্যাচে লেগ স্পিনার খেলালে তারাও যে সাফল্য্য এনে দিতে পারে কিংবা প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে পারে তা প্রমাণ করেছেন তিনি। এ ম্যাচে নিজের কোটার পুরোটা বল করে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন তিনি। তবে উইকেট না পেলেও পাকিস্তানি ব্যাটারদের চেপে ধরতে দারুন বোলিং করেন নাসুম আহমেদ। তিনি চার ওভারে ২০ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন।

১১তম ওভারের মাঠে ফিরে আসেন তাসকিন আহমেদ। মাঠে ফেরার ওভারে ৯ রান দেন তিনি। পরের ওভারেই নিজের লেগ স্পিন দিয়ে পাকিস্তানের রানের গতি কিছুটা হলেও রোধ করেন আমিনুল ইসলাম।

১৬তম ওভারের প্রথম বলেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বোল্ড করেন অভিষিক্ত পেসার শহীদুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ৪০ রানে ফেরেন তিনি। তবে এতেও বাংলাদেশের জয়ের পথ কোনোভাবেই সুগম হয়নি।

শেষ ওভারে অধিনায়কের দারুণ বোলিংয়েও জেতাতে পারলো না বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে তিন উইকেটে শিকার করে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সমীকরণ দাঁড়িয়েছিলো জয়ের জন্য এক বলে দরকার ২ রান। মোহাম্মদ নওয়াজ চার মেরে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

Exit mobile version