parbattanews

টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে আধিপত্য বিস্তারে দু‘গ্রুপের হামলায় আহত ৬

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে দুই রোহিঙ্গা গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দু’ রোহিঙ্গা গ্রুপের ৬ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে চাকমারকুল (২১ নম্বর) শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। আহত ৬ রোহিঙ্গা হলেন চাকমারকুল ক্যাম্পের ডি ব্লকের মো. হারেস, ওমর আলী, এফ ব্লকের মো. ইউসুপ, সি ব্লকের মো. আয়ুব, এইচ ব্লকের আনোয়ার মাঝি ও এ ব্লকের সৈয়দ আমিন। এদের মধ্যে দু‘জনের অবস্থা গরুতর।

জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে সামান্য দোকানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হারেস গ্রুপ ও তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মানি সাইডের সৈয়দ আমিন ও আনোয়ারকে মারধর করে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হেড মাঝি জাবের ও তার শ্যালক রফিক মাঝি তার সশস্ত্র গ্রুপদের নিয়ে রাতের আঁধারে সাধারণ রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর চালায়। একপর্যায়ে হারেসগ্রুপও তার ত্রাস চালিয়ে দু’গ্রুপের মুখোমুখি হয়। তাদের দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের হামলায় উভয়ের অন্তত ৬ জন আহত হন।

হামলার খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলেই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আহত দু‘জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এনজিও পরিচালিত হাসপাতাল এমএসএফে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, তারা চিহ্নিত দূস্কৃতিকারী। তাদের অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। যে কোনো তুচ্ছ ঘটনায় তারা এখানে ত্রাস চালিয়ে থাকে।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দুইগ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে ২১নং ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ সাব্বির ইকবাল মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ ইনচার্জ এসআই নাজুমল আলম বলেন, দখলদারিত্ব নিয়ে দুই রোহিঙ্গা গ্রুপ মুখোমুখি হয়। এতে দুই রোহিঙ্গা সামান্য আহত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version