বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার:
সাগরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের তোড়ে টেকনাফের বঙ্গোপসাগরের উপকুলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে টেকনাফের হ্যাচারী জোনসহ বিশাল এলাকা।
এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে গোটা হ্যাচারী জোনসহ টেকনাফের বিশাল এলাকা বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে খবর নিয়ে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গেছে, শাহপরীর দ্বীপের ভাঙ্গনের পর সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী ও নয়াপাড়া বাজারের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের কাটাবনিয়া কচুবনিয়ায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
টেকনাফ পৌরসভার পশ্চিমে সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়াপাড়া সী-বীচের হ্যাচারী জোন মারাত্বকভাবে ভাঙতে শুরু করেছে। এভাবে সদর ইউনিয়নের তুলাতুলি, দরগারছড়া, হাবিরছড়া ও বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়া, কচ্ছপিয়া, মাথাভাঙ্গা, শামলাপুরে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। ঢেউয়ের আঘাতে সাগরের করাল গ্রাসে চলে গেছে হাজারো ঝাউগাছ, বিলীন হয়ে গেছে বালিয়াড়ি।
এ অবস্থা দেখে টেকনাফের অনেক বিজ্ঞজন মনে করছেন, আগামী কয়েক বৎসরের মধ্যে বঙ্গোপসাগর বিলীন হয়ে যেতে পারে টেকনাফের উপকুলীয় হ্যাচারী জোন।
আবার অনেকে মনে করছেন, টেকনাফ উপজেলার নাইথ্যং পাহাড় থেকে দক্ষিনের অংশটি সাগরে পরিণত হতে পারে। এ অংশটি স্থলভাগে টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। বিশেষ করে শাহপরীর দ্বীপের ভয়াবহ ভাঙন টেকনাফ শহর বিলীনের পূর্ভাবাস বলে মনে করছেন অনেকে।
ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে টেকনাফ মহেশ খালিয়াপাড়া হ্যচারী জোনের ভবন বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়ে যায়। এখন হ্যাচারী জোনের দীর্ঘ ১ কিলোমিটার ঝাউবাগান ও হ্যাচারী ভবন সাগরে ভাসছে।
টেকনাফ উপজেলার সাগর উপকুল রক্ষা করতে অতি দ্রুত টেকনাফের পূর্ব-পশ্চিম এলাকায় বেড়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।