টেকনাফে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ফরমালিনযুক্ত আম
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ:
টেকনাফের নাইট্যংপাড়া, শাহপরীরদ্বীপ, নয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, উনছিপ্রাং, কাটাখালী, উলুবনিয়া, ট্রানজিটঘাট, তুলাতলী ইত্যাদি পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারের ফরমালিনযুক্ত প্রচুর আম আসছে । আমের বিনিময়ে মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে মূল্যবান সামগ্রী।
ফরমালিনযুক্ত এসব আম খেয়ে ব্যাপক হারে অনেকের পেঠে পীড়া দেখা দিয়েছে । অথচ প্রশাসন জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি স্বরুপ এব্যাপারে রহস্যজনক নিশ্চুপ । তাছাড়া ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসা আমের কোয়ারেন্টাইনও করা হচ্ছেনা । চোরাই পয়েন্টের পাশাপাশি ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়েই মায়ানমার থেকে বেশির ভাগ আম আসছে বলে জানা গেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সীমান্তের কয়েকটি চিহ্নিত পয়েন্টের চোরাকারবারীরা আমের ঝুড়ির ভিতরে আনছে ইয়াবা, মদ, কারেন্টজাল ইত্যাদি অবৈধ সামগ্রী।
মিয়ামারের ফরমালিন যুক্ত আম আসায় দেশীয় আমের বাজার হারাচ্ছে টেকনাফের আম চাষীরা। মিয়ানমারের ফরমালিন যুক্ত আম এনে বিনিময়ে মিয়ানমারে দেশের ভর্তুকি দেয়া পন্য তৈল, সার, পিয়াজ পাচার করছে প্রতিনিয়ত। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে টেকনাফ উপজেলার সর্বত্র মায়ানমার তেকে আনা ফরমালিনযুক্ত আম দেদারছে বেচা-কেনা হচ্ছে ।
জনস্বাস্থ্যের প্রতি ক্ষতিকর বিষয়গুলো উপজেলা পর্যায়ে তদারক ও দেখাশুনা করার প্রধানতঃ স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের অথচ তাদের উদাসীনতার কারণে প্রতিনিয়ত বিক্রি হচ্ছে ফরমালিন যুক্ত আম। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত সেনিটারী ইন্সপেক্টর সোহরাব হোসেন বলেন- আমাদের কাছে ফরমালিন পরীক্ষা করার কোন যন্ত্রপাতি নেই।
টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত প্রথম শ্রেনীর একজন কর্মকর্তা এক প্রতিবেদককে জানান- টেকনাফের হাটবাজারে বিক্রিত আম এনে পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৪.৮৪ পিপিএম ফরমালিন পাওয়া গেছে। তাছাড়া আপেল পরীক্ষা করে দেখা গেছে ,তাতে ২.৩৪ পিপিএম ফরমালিন পাওয়া গেছে। যা মানবদেহের সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। তিনি কোয়ারেন্টাইন বিহীন মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আম আসার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।