parbattanews

টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে অস্ত্র লুট ও হত্যার ঘটনায় ৫ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

on‡ copy

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া আনসার ক্যাম্পে হামলা, হত্যা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। বুধবার রাত আড়াইটায় উখিয়া কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) কক্সবাজারের কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সরাফত উল্লাহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১২ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের পাশে আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে মোহাম্মদ আলী হোসেন নামের এক আনসার কমান্ডার নিহত হন।

এদিকে আনসার ক্যাম্পে ঘটনায় আটককৃতদের ব্যাপারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় কক্সবাজার ক্যাম্পে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন র‌্যাব-৭ এর সিইও লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, গতকাল রাতে গ্রেফতারের মধ্যে ডাকাত রফিক সরাসরি আনসার ক্যাম্পে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে প্রাথমিকভাবে বলেছে, ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ১ টায় শফি আলম তাকে বাসা থেকে ব্রিক ফিল্ডের কাছে পেকে নিয়ে যায় এবং ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে সে শফি আলম, খায়রুল আমিন, রাজ্জাক ও হারুনসহ আরো অপরিচিত ১০ থেকে ১২ জন লোককে দেখতে পান। তখন শফি আলম রফিককে বলে তোমার কোন সমাস্যা নাই। তুমি কাজ শেষ করে কালকে সকালে ২০ হাজার টাকা রাজ্জাকের কাছ থেকে নিবা। তারপর পায়ে হেটে একসাথে ব্রিক ফিল্ডের পরে মৌলভী কামালের বাসার পার্শ্বে একটি ব্রীজে সে রফিক আর শফি আলম দাঁড়ায়।

আনসার ক্যাম্পে হামলার সময় রফিকের হাতে ছিল রামদা, রাজ্জাকের হাতে একটা পিস্তল, খাইরুল আমিনের কাছে একটা কাটা বন্দুক, নুর আলমের কাছে একটা পিস্তল, শফি আলমের কাছে ২ থেকে ৩ হাত লম্বা একটি কিরিচ এবং হারুনের কাছে একটা দেড় হাত লম্বা লাঠি ছিল। হামলার পর লুট করা অস্ত্রগুলো তিনটি বস্তায় ভরে তারা চলে যায়। বস্তা তিনটি রাজ্জাক, খাইরুল আমিন ও নুর আলমের কাঁধে ছিল বলে তথ্য দেন আটককৃত ডাকাত রফিক।

গতকাল রাতে র‌্যাবের এ অভিযানে আটককৃতরা হল, মুচনি ক্যাম্পের ডি ব্লকের ৫ নং রুমের ৭২৯ নং সাইডের মৃত জালাল আহমদের পুত্র রফিক (৩০), ই-ব্লক ৯১৪ নং সাইডের ৩ নং রুমের মৃত বাছা আলীর ছেলে আব্দু রাজ্জাক (২৫), সি ব্লকের ১৩ নং সাইডের ৩ নং রুমের মৃত ফজল আহমদের ছেলে মো. হারুন ( ৩০), ই ব্লকের ৯১৪ নং সাইডের ৩ নং রুমের মৃত বাছা আলীর ছেলে আবদুস সালাম (২৯) ও সি ব্লকের ৮৭৯ নং সাইডের ২ নং রুমের মৃত আমির হামজার ছেলে জয়নাল প্রকাশ জানে আলম (৫০) কে গ্রেফতার করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্নেল মিফতাহ আরো বলেন, আটককৃতদের অধিকতর তদন্ত ও জিঙ্গাসাবাদ করা হবে। বর্তমানে অন্যদের গ্রেফতারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version