টেকনাফে আসামী ধরে দেয়ায় মামলা : এলাকায় তোলপাড়

Teknaf 1

আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:

টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপে চাঞ্চল্যকর ছৈয়দ হোসেন হত্যা মামলার আসামী আজম উল্লাহকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার আগে ‘মারধর’র অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার বিকেলের দিকে আজম উল্লাহর মা বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ ইসমাঈলকে প্রধান আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন।

সুত্র জানায়, দীর্ঘ এক বছর আগে নিজ বাড়ির সামনে দিন দুপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন দিন মজুর ছৈয়দ হোসেন। এরপর নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার বাসিন্দা আলী উল্লাহর পুত্র আজম উল্লাহকে তিন নম্বর আসামী করা হয়।

দীর্ঘ এক বছর পর গত শুক্রবার বিকেলে মামলার বাদী ফাতেমা বেগম ও ছৈয়দ হোসেন’র আত্মীয় স্বজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাহপরীরদ্বীপ কবরস্থান সংলগ্ন বাগগোলা গাবতলী থেকে আজম উল্লাহকে আটক করে। আটকের পর তাকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে আটকের পর আজম উল্লাহকে ‘মারধর’ করা হয়েছে-এমন অভিযোগ এনে সাবরাং ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ ইসমাইল সহ অপর দুই ভাইকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে গ্রেফতারকৃত আজম উল্লাহর মা বধু বিবি।

এব্যাপারে সাবরাং ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ ইসমাঈল জানিয়েছেন, ছৈয়দ হোসেন হত্যার ঘটনায় যে মামলায় আজম উল্লাহ গ্রেফতার হয়েছে। আমি সেই মামলার এক নম্বর আসামী। সেটিও আমাকে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক ভাবে হয়রানি করার জন্য ষড়যন্ত্রমূূলকভাবে জড়ানো হয়েছে। অপরদিকে আজম উল্লাহকে মারধর করা হয়েছে অভিযোগে দায়ের করা মামলায়ও আমি প্রধান আসামী। সাথে আমার অপর দুই ভাইও। পাশাপাশি নিহত ছৈয়দ হোসেন’র ছোট ভাই লাইল্যাকেও আসামী করা হয়েছে। অথচ আজম উল্লাহকে আটকের সাথে আমি কোনভাবেই জড়িত নই। তারপরও আমাকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।

তিনি দাবী করেন, একটি প্রভাবশালী চক্র কালো টাকার বিনিময়ে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

মামলার তদন্তভার দেয়া হয় টেকনাফ থানার উপ-পরিদর্শক আউয়ালকে। এব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার এজাহার এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে মুন্সীর কাছ থেকে শুনেছি-ওই মামলার তদন্তভার আমাকে দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলতে পারবেন বলেও জানান এসআই আউয়াল।

এদিকে স্থানীয়রা এই মামলাকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন