টেকনাফে একই পরিবারের শিশুসহ দুই মৃতদেহ উদ্ধার

fec-image

টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে একই পরিবারে শিশুসহ দু’জনের মৃতদেহ ও দু’জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয় ও স্বজনরা।

নিহতরা হলেন, সাবরাংয়ের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়ার আনোয়ার (৩৭) ও তার মেয়ে রাফিয়া (১০)। নিহতের শিশু মেয়ে মাহিয়া ও এক পুত্রকে মুমূর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের সংসার সুখে থাকলেও গেল কিছুদিন ধরে অভাব অনটনের ফলে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। কয়েকদিন পূর্বে নিহত আনোয়ার মাছ ও তরিতরকারি নিয়ে বাড়ীতে আসলে তাঁর স্ত্রী হুসনে আরা তা হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বাহিরে ফেলে দেয়। সর্বশেষ ১১ ডিসেম্বর আবারো স্বামী -স্ত্রীর কথাকাটির জের ধরে স্ত্রী দুগ্ধজাত শিশুকে নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এই ক্ষোভে গত শনিবার দিবাগত রাতে আনোয়ার তিন সন্তানকে বিষপান করিয়ে নিজেই বিষপান করেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

রবিবার ( ১২ ডিসেম্বর) সকালে মাহিয়া নামে বেঁচে থাকা শিশুকন্যা পিতা ও বড় বোন রাফির নিথর দেহ দেখে কান্নাকাটি করলে প্রতিবেশীরা এসে তাদের মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে মাহিয়াসহ ২ জনকে কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মাহিয়া কিছুটা সুস্থ হলে সাথে থাকাদের জানায়, তারা পিতাসহ রাতে ডিম ও দুধ দিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে এবং সকালে পিতা ও বোনের নিথর দেহ দেখে কান্নাকাটি করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।

জানা যায়, আনোয়ার পেশায় একজন জেলে। প্রতিনিয়ত অভাব ও দারিদ্র্যতার কারনে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। অভাবেই একটি সম্ভাবনাময় পরিবারের অবুঝ ৩শিশুসহ বিপদজনক ঘটনার পথ বেচে নেই।

টেকনাফ মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল আলিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষপান করে নিহত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে নিহত আনোয়ার (৩৭) ও তার পরিবার বহুবছর ধরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এদেশে বসবাস করে আসছিল। তাহার অন্যান্য আত্বীয় স্বজন চট্রগ্রামের কোথাও বসবাস করলেও আনোয়ার স্থানীয় ইমাম শরিফ ওরফে কানপুরা মাঝির মেয়ে হুসনে আরার (৩৫) কে বিবাহ করে জালিয়াপাড়ায় রয়ে যায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন