বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)’র অভিযানে ১,২০,০০,০০০ (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৩ হতে আনুমানিক ১কিঃমিঃ উত্তরে ১নং স্লুইচ গেইট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ১৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৩ হতে আনুমানিক ১কিঃমিঃ উত্তরে ১নং স্লুইচ গেইট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপি’র বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করে গোপনে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ৩.৫০টায় টহলদল বর্ণিত এলাকা দিয়ে ২ জন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে একটি পোটলা হাতে নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে। উক্ত ব্যক্তিদেরকে দেখা মাত্রই টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়। দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত পোটলা ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ডুব সাঁতার দিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ১টি পোটলা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর হতে ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
ইয়াবা কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী বা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীকে শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদের শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
