চুরির অভিযোগে থানায় মামলা, আটক ৩

টেকনাফে এসিল্যান্ডের বাসা থেকে ১১ লাখ টাকা হাওয়া!

fec-image

কক্সবাজার টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরীর সরকারি কোয়ার্টারে রক্ষিত ১১ লাখ টাকা ও ১১ ভরি ওজনের স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাকে ‘চুরি’ হিসেবে চিহ্নিত করে গাড়ি চালক মো. আলী (৩০) গত ৬ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেছেন।

ওই মামলায় ইতোমধ্যে ৩ জনকে ‘সন্দেহজনক’ আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় এরফানুল হক চৌধুরী বাসায় ছিলেন না। তিনি সরকারি কোয়ার্টার ‘মল্লিকা’র ২য় তলায় থাকতেন।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘সন্দেহজনকভাবে ঘটনার পরের দিন ২ জন, দুইদিন আগে আরেকজন আটক করা হয়েছে। রিমাণ্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার পর থেকে আমরা লেগে আছি। চুরি নাকি অন্য কিছু, বের করার চেষ্টা চলছে।’

টাকাগুলো মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণের জন্য রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী।

তবে, সরকারি প্রকল্পের ১১ লাখ টাকা কর্মকর্তার বাসায় কেন? সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহল পূর্বে অবগত ছিলেন কিনা? প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে। ১১ ভরি স্বর্ণ চুরির কথাতেও রহস্য দেখছে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের নিকট জানতে চাইলে বলেন, ‘এরকম একটা ঘটনার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। সেটা আইনগত বিষয়। আমাদের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না।’ ডিসি বলেন, ‘টাকাটা আসলেই কার, নিশ্চিত নই। আমাদের প্রকল্পের নাকি অন্য কারো, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, একবছর আগে সরকারি কোয়ার্টার মল্লিকা ভবনে বসবাস শুরু করেন মো. এরফানুল হক। গেল ২ ডিসেম্বর ছুটিতে যান তিনি। ৬ ডিসেম্বর রাতে কর্মস্থলে ফিরে দেখেন তার বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে ২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৬ ডিসেম্বর রাত অনুমান সাড়ে বারোটার যেকোন চুরির ঘটনাটি হয়েছে। চোরের দল আলমারীর ড্রয়ারে রক্ষিত থাকা নগদ ১১ লাখ টাকা এবং ১১ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

বাদী মো. আলী বলেন, ‘স্যার ছুটি থেকে আসার পর চুরির বিষয়টি জানতে পারেন। নির্দেশমতে মামলা দায়ের করেছি। যার টেকনাফ থানা মামলা নং-১৬/২২)।’

এ বিষয়ে মো. এরফানুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, ‘মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণের ব্যয় পরিশোধ করতে টাকাগুলো ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে বাসায় রাখা হয়েছিল। ছুটি থেকে এসে দেখি টাকা ও স্বর্ণ চুরি হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, টেকনাফ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন