parbattanews

টেকনাফে ছয় কোটি টাকা মূল্যমানের ইয়াবা জব্দ

বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ৬,০০,০০,০০০ (ছয় কোটি) টাকা মূল্যমানের ২,০০,০০০.০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি গত ২৫ নভেম্বর রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৮ হতে আনুমানিক ১.৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্ব কোণে এগারোকানী আলমগীরের প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হবে বলে জানা যায়।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে হোয়াইক্যং বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে এগারোকানী এলাকায় বেঁড়ীবাধের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ২২.৪৫টায় উক্ত এলাকা দিয়ে ৩ জন চোরাকারবারী ২টি প্লাস্টিকের বস্তা নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। টহলদল উক্ত ব্যক্তিদেরকে দেখা মাত্রই তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়। দুষ্কৃতিকারীগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত বস্তা ফেলে নাফ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত সাঁতরিয়ে পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, এলাকাটি বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের অতি নিকটবর্তী (দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার) হওয়ায় ইয়াবা পাচারকারীরা দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ২টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর হতে ৬,০০,০০,০০০/-(ছয় কোটি) টাকা মূল্যমানের ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। ইয়াবা কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী অদ্য ২৬ নভেম্বর ২.৩০টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য,  টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) টেকনাফ সীমান্তের দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতে মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত, মানবপাচারসহ সীমান্তে সংঘটিত সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধসমূহ প্রতিরোধকল্পে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

Exit mobile version