parbattanews

টেকনাফে জইল্যারদ্বীপ পরিদর্শনে বেজার জার্মানী পরামর্শক প্রতিনিধি দল

টেকনাফ প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজার) জার্মানী পরামর্শক প্রতিনিধি দল টেকনাফের জইল্যারদ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জার্মানী পরামর্শক ও গবেষক মিসেস থার্টিনা এগার্ট এবং নরবাট জিন্সবার্ট। এসময় তাঁদের সাথে ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ শফিউল আলম।

জানা যায়, ৭ আগস্ট বিকালে টেকনাফ স্থলবন্দর অভিবাসন কেন্দ্রের জেটি দিয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর একটি স্পিডবোট যোগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজার) পরামর্শক প্রতিনিধি দলটি জইল্যারদ্বীপ গিয়ে ঘুরে দেখেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, পরিকল্পনার জন্য প্রতিনিধি দলটি জাইল্যারদ্বীপ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা পরিদর্শন করেছেন। দ্বীপটি দেখে দুই পরামর্শক খুবই মুগ্ধ হয়েছেন। পর্যটকদের জন্য আকষর্ণীয় ও সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য স্থান হচ্ছে জালিয়ারদ্বীপ। এখানে আধুনিক মানের রিসোর্ট, রেস্তোঁরা, বিনোদন কেন্দ্র, কেনাকাটার জন্য আধুনিক শপিং সেন্টারসহ পাহাড় থেকে নদীতে নামার জন্য ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। এসবের পরিকল্পনা করতেই তাঁরা পরিদর্শনে আসেন। এপ্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশী-বিদেশী লাখ লাখ পর্যটক ভিড় জমাবে এবং টেকনাফে শিক্ষিত লোকদের কর্মসংস্থান হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) কর্তৃক বাস্তবায়িত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর বুকে গড়ে ওঠা জইল্যারদ্বীপের আয়তন ২৭১ দশমিক ৭১ একর। স্বাধীনতার পর থেকে এই দ্বীপে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ইজারা নিয়ে চিংড়ি ও লবণ উৎপাদন করে আসছিল। এখন বিদেশি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে প্রতীকী মূল্যে এই দ্বীপটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে বন্দোবস্তি দিয়েছেন। ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৯জন সচিবকে নিয়ে তিনি জইল্যারদ্বীপ ও সাবরাং এলাকা সফর করেন। জইল্যারদ্বীপের সৌন্দর্য দেখে তারা তখন সবাই মুগ্ধ হন। এরপর দ্বীপটিতে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার কাজে হাত দেয় বেজা। প্রসঙ্গতঃ দ্বীপটির নাম আবদুল জলিলেরদ্বীপ। কিন্ত স্থানীয় ভাষায় বলে জইল্যারদিয়া বা জইল্যারদ্বীপ নামেই পরিচিত।

Exit mobile version