টেকনাফে পানিবন্দী ৩০ হাজার মানুষ, দুর্ভোগ চরমে

fec-image

টেকনাফে টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও নাফ নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কক্সবাজার -টেকনাফের প্রধান সড়কসহ গ্রামের প্রায় সড়কগুলো।

পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ঘরবাড়িসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ফলে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারন মানুষ।

গত সোমবার বিকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা তিনদিন প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া, হারাংগ্যা ঘোনা, মৌলভী পাড়া, ঝিমংখালী, নয়াবাজার, হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং. চৌধুরী পাড়া, সিকদার পাড়া, ফুলের ডেইল, রংগীখালী, লামার পাড়া, লেদা, জালিয়া পাড়া, নাটমোরা পাড়া, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতূন পল্লান পাড়া, ড়েইল পাড়া, নাজির পাড়া, টেকনাফ পৌর এলাকার কলেজ পাড়া, জালিয়া পাড়া, ইসলামাবাদ, নাইটং পাড়া ও সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপসহ নিম্নাঞ্চলে কয়েক হাজার বসত বাড়ি, প্রধান সড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

এছাড়াও সোমবার ভারী বর্ষণে দেওয়াল চাপায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনির ঘোনায় রকিম আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে। বুধবার ভোর রাতে হ্নীলায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের পাঁচ ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।

এ দিকে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহামুদ আলী প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পানিবন্দি এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জনসচেতনতায় মাইকিং প্রচার অব্যাহত রেখে এবং ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরত মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর অভিযোগ নাফ নদীর প্রায় স্লুইচ গেইট অকেজো এবং বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢল নদীতে নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সীমান্ত সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে ঠিকাদার গাফিলতি করে সুইচ গেইট স্থাপন না করায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হ্নীলা, হোয়াইক্যংসহ বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন