parbattanews

টেকনাফে পৃথক অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক মিয়ানমার নাগরিক

বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত পৃথক দুটি অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ পরিবেশ টাওয়ার এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। ।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় নাফ নদীতে নৌ টহলরত অবস্থায় থাকে। এসময় বিজিবি টহলদল ৩ জন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে নাফ নদী পার হয়ে সাবরাং পরিবেশ টাওয়ার এলাকার দিকে নদীর কিনারায় আসতে দেখে। অতঃপর নৌকা হতে একজনকে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগসহ নেমে নদীর কিনারায় অপেক্ষারত অপর একজন লোকের নিকট ব্যাগটি হস্তান্তরের সময় বিজিবি টহলদল খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়।

বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল ধাওয়া করে তাদের মধ্য থেকে একজনকে প্লাস্টিকের ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হয়। অপর ০৩ জন নাফ নদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তির কাছে প্রাপ্ত প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ৩০ হাজার (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসময় ইয়াবা পাচারের কাজে ব্যবহৃত কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়।

আটককৃত মাদক পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে মিয়ানমারের মংডু জেলার মুন্নিপাড়া গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া (২৫)। তাকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে, আজ বিকেলে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ জীম্বংখালী বিওপি’র টহলদল দায়িত্বপূর্ণ শুকুরের ঘের নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক কারবারীদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের জারিকেনের ভেতর থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

Exit mobile version