টেকনাফে প্রধান শিক্ষকের কাণ্ড: ভাইয়ের বিয়েতে স্কুল বন্ধ

teknaf pic (school) 20-4-15 (2)

মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের একমাত্র উচ্চ বিদ্যাপীঠ ও সাংসদ আবদুর রহমান বদির মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত লম্বরী মলকাবানু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে স্কুল বন্ধ রেখেছে প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনা ঘটেছে ২০ এপ্রিল সোমবার।

মলকাবানু উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় বন্ধ রেখে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করার বিষয়ে কারোর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো: ইসমাইলের মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি গালিগালাজ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করুন বলে ফোন কেটে দেন। বার বার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ করেন নি।

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ জানায়, কেন বন্ধ রেখেছে তা ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করা হয় নি।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মো: ইসমাইলের ছোট ভাই দোলোয়ার হোসেনের বিয়ে উপলক্ষ্যে স্কুল বন্ধ রেখেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্র জানান, ব্যবস্থাপনা কমিটিকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক আগের দিন বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী সোমবার বিদ্যালয় বন্ধ ছিল।

এদিকে, এলাকাবাসী আরো জানিয়েছেন, হরতাল, অবরোধে তেমন কোন ক্লাস হয় নি। এছাড়া সামনে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার আগে বিদ্যালয় বন্ধ রেখে বিয়ে আয়োজন করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আমান উল্লাহ আমান নামে এক সচেতন ব্যক্তি বলেন, ‘ভাইয়ের বিয়ে হবে, বিদ্যালয় বন্ধ হবে, এটা প্রধান শিক্ষকের বাপের স্কুল নাকি? এমন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকদের কাছে। তিনি আরো বলেন, প্রথম সাময়িক পরীক্ষার আগে বিদ্যালয় বন্ধ রেখে বিয়ের অনুষ্ঠান করা মোটেই ঠিক হয় নি।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় বন্ধ, মাঠে কিছু ছেলে ফুটবল খেলছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত নুরুল আবছারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দীন বলেন, ‘খবর শুনে আমি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তিনি গিয়ে প্রমাণ পেয়েছেন, প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশের জবাব পাওয়ার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন