parbattanews

টেকনাফে ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ

মামলা দায়েরের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা। আসামি টেকনাফ নয়াপাড়ার মনু মিয়ার ছেলে শাহ আমানত (১৯)।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে অবগত হয়, উখিয়া থানাধীন জনৈক মো. শফিউল আলমের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে গত ৭ নভেম্বর তার মেয়েকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া এবং বিবাহের প্রলোভনে দেখিয়ে টেকনাফের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩২, তাং ১৭/১১/২০২৩ খ্রি., ধারা-৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০২০)। বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর থেকে মামলার বর্ণিত আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি টেকনাফ থানাধীন নয়াপাড়া এলাকায় আত্মগোপনে অবস্থান করছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) রাতে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহ আমানতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি এবং গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করে।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Exit mobile version