parbattanews

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

ঘটনাস্থল থেকে ৬৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুই টি এলজি ও কার্তূজ উদ্ধার করা হয়

কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হযেছেন। নিহতরা হলেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কান্জরপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জলিলে ছেলে মোঃ রহিম উদ্দিন প্রকাশ রফিক (৩৭) ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া গ্রামের ছালেহ আহমদের ছেলে মো: আজিজ (২৪)। ঘটনাস্থল থেকে ৬৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুই টি এলজি ও কার্তূজ উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (২০ অক্টোবর) ভোর রাত চারটার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়কের মহেশখালিয়া পাড়া নৌঘাট এলাকায় ও মদিনা জোড়া নাফ নদীর তীরে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন বিজিবি ও পুলিশ।

২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান জানান, ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং নাফ নদী পয়েন্ট একটি বড় ইয়াবা চালান প্রবেশের সংবাদ একদল বিজিবি অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পরে কয়েকজন লোক নৌকা দিয়ে নদীর তীড়ে পৌঁছা মাত্রই তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। সাথে সাথে তারা বিজিবির উপর গুলি ছুঁড়ে। বিজিবিও কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি ছুড়ে। ৭/৮ মিনিট উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। পরে অস্ত্রধারীরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে এক পর্যায়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি এলজি, তিন রাউন্ড কার্তূজ ও দুইটি কিরিচসহ এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে জানতে পারে মারা যাওয়া যুবক মোঃ রহিম উদ্দিন। বিজিবির ৩ সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ দিকে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, রাতে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে অভিযানে গেলে সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় এস আই কামরুজ্জামান, এএসআই মিশকাত ও কনস্টেবল রুমেন দাস আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক মাদক ব্যবসায়ী আজিজকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, সাত রাউন্ড গুলি ও তিন হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

প্রদীপ দাশ আরও জানান, নিহত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Exit mobile version