টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত
টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মোঃ হোসেন (৩৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি তিনি মাদক ব্যবসায়ী। রোববার (২১ জুলাই) ভোররাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়া শিয়াল্যঘোনা পাহাড়ের পাদদেশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২ হাজার ইয়াবা, দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৯ রাউন্ড তাজা কর্তূজ ও ১২ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হন।
নিহত ব্যক্তি ওই এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দায়িত্বরত হোয়াইক্যং ফাঁড়ী পুলিশের এএসআই অহিদ উল্লাহ গতকাল রাত ৮ টার দিকে সাতঘরিয়াপাড়াস্থ গ্রাম পুলিশ নুরুল কবিরের বাড়ির সামনে থেকে একাধিক মামলার আসামী হোছেনকে গ্রেফতার করে। থানায় নিয়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাতঘরিয়াপাড়া এলাকার শিয়াল্যঘোন পাহাড়ের পাদদেশে ইয়াবার একটি বড় চালান মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি এই স্থান থেকে বেশির ভাগ ইয়াবার লেনদেন করে আসছিল।
এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযানে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ী এএসআই অহিদ উল্লাহ, কনস্টেবল সজীব সরকার ও মুনির হোসেন আহত হলে জান মাল রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের পক্ষ থেকে ৩৮ রাউন্ড গুলি করা হয়।
বেশ কিছু সময় গুলি বিনিময় হওয়ায় অস্ত্রধারীরা পিছু হটে। এতে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবার সাথে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হোসেনকে পাওয়া যায়। তাৎক্ষনিক তাকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। টেকনাফ থানার ওসি সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ৬ টি মামলা রয়েছে। তিনি তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ব্যাাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, মোঃ বার্মাইয়া নুর হাফেজের সিন্ডিকেটের অন্যতম ব্যবসায়ী। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাচার করে যাচ্ছে।