টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৯০ লাখ টাকার ইয়াবা জব্দ
বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন(২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ৯০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১১ হতে আনুমানিক ৭০০ গজ দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে আনোয়ার প্রজেক্টের পাশে আলীখাল সংলগ্ন লবন মাঠ এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমান হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়।
ঐ সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ২০ নভেম্বর রাতে লেদা বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে আলীখাল বেড়ীবাঁধ ও মাঠের ভেতর আইলের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক রাত ১১টায় লবন মাঠ এলাকা দিয়ে ০২ জন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে ১টি প্লাষ্টিকের বস্তা নিয়ে আসতে দেখে। টহলদল দেখা মাত্রই তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়। দুষ্কৃতিকারীগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত বস্তা ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী আলীখাল গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ১টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর হতে ৯০ লাখ টাকা মূল্যমানের ত্রিশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়।
ইয়াবা কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঐ স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) টেকনাফ সীমান্তের দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতে মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত, মানবপাচারসহ সীমান্তে সংঘটিত সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধসমূহ প্রতিরোধকল্পে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।