টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

fec-image

টেকনাফে গভীর রাতের মাদকবিরোধী অভিযানে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফলে বড় আকারের মাদকের চালান পাচারের অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিকুর রহমান।

বিজিবি সুত্রে জানা যায়, মায়ানমার থেকে মাদকের একটি বিশাল চালান বাংলাদেশের নাজিরপাড়া বিওপি’র আওতাধীন নারিকেল কাঠি সংলগ্ন ‘সাইফুলের ঘের’ নামক স্থান দিয়ে প্রবেশ করবে। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে একটি নিশ্ছিদ্র অভিযানের নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়।

গত সোমবার গভীর রাতে নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিআরএম-৬ হতে প্রায় ৫০০ গজ উত্তর-পশ্চিমে, ঘন ও গহীন ঝোপঝাড়ের আড়ালে বিজিবি জওয়ানরা কৌশলগত অবস্থান নেয়। এসময় ৪-৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে রাতের আঁধারে মায়ানমার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের দিকে নাফ নদী হয়ে খাল ধরে ঘেরের পানির মধ্যে মাদকের ভারী বস্তাসহ সাঁতার কেটে আসতে দেখা যায়। বিজিবি দল তাদেরকে সংকেত দিলে ওই ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং তারা ভারি বস্তাগুলো পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে রাতের গভীর অন্ধকারের সুযোগে সাঁতার দিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি টহলদল ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে পানিতে দীর্ঘ সময় তল্লাশি করে ওই চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া কয়েকটি বস্তা হতে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

বিজিবি সুত্রে আরো জানা যায়, ইতিমধ্যে পাচারকারী চক্রের স্থানীয় হোতাদের মধ্যে এক জনের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পাচার চক্রের অন্যান্যদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য ‘হাই-টেক’ নজরদারি ও বিশেষ অভিযান জোরদার করেছে এবং অচিরেই তাদের আইনের আওতায় এনে এই মাদকের নেটওয়ার্ক কঠোর ভাবে প্রতিরোধ করা হবে।

চিহ্নিত পাচারকারী চক্রের সনাক্তকারি হচ্ছে টেকনাফের খানকার ডেইলের ইমান হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩৩)।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান জানান- পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু এবং আটককৃত মাদকদ্রব্য আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই সফল অভিযান বিজিবি’র পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং সীমান্ত সুরক্ষায় তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির এক সমুজ্জ্বল ও আপোসহীন দৃষ্টান্ত।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াবা, কক্সবাজার, টেকনাফ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন