parbattanews

টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা মাদককারবারি নিহত,২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবাসহ অস্ত্র উদ্ধার

২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ উদ্ধার করা অস্ত্র ও বুলেট

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং দুই ক্যাম্পের ব্লক ডিএর মো. জামাল হোসেনের ছেলে মো. আয়াস (২৫)। ঘটনাস্থল হতে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা বোঝাই নৌকা, অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১ টার দিকে জাদিমোড়াস্থ শেকলঘেরা নাফ নদী হয়ে বড় ধরনের ইয়াবার চালান নিয়ে অনুপ্রবেশকালে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ওই রোহিঙ্গা নিহত হন।

বিজিবি জানায়, টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপির একটি বিশেষ টহল দল মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিকল ঘেরা এলাকায় অবস্থান নেয়।

নাফ নদীর লালদ্বীপ হয়ে মিয়ানমার হতে আসা কয়েকজন লোক বোঝাই নৌকা বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালালে বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করেন। তখন নৌকা হতে বিজিবিকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে।এতে ৩ বিজিবি সদস্য আহত হন। এসময় বিজিবি সদস্যরাও সরকারি সম্পদ এবং আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করতে থাকে।

৬ মিনিটি গুলি বিনিময়ের পরে নৌকায় থাকা মাদক কারবারিরা মিয়ানমার সীমান্তে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নদীতে ঝাঁপ দেয়।

পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে ইয়াবার চালান বোঝাই একটি নৌকা, ১টি দেশীয় বন্দুক, ১ রাউন্ড তাজা এবং ১ রাউন্ড খালি খোসা এবং গুলিবিদ্ধ এক মাদক কারবারিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারিকে কক্সবাজার হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মাদক কারবারি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২নং ক্যাম্পের ব্লক-ডি-৪ এর বাসিন্দা বলে সনাক্ত করা হয়।

জব্দকৃত ইয়াবা ব্যাটালিয়ন সদরে গণনা করে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা দামের ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।

টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

Exit mobile version