parbattanews

টেকনাফে বিপুল পরিমাণ মাদক, অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে একটি বসতঘরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ হিরোইন, ইয়াবা, অস্ত্র, তাজা কার্তুজ ও ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও সাতজনকে পলাতক আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার পর্যন্ত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোদারবিল গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাজেদের ভাড়া করা বসতঘর থেকে এসব মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, রবিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোন বসতঘরে ইয়াবা, অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ মজুদ রাখার গোপন সংবাদ পায়। ওই সংবাদে একটি বিশেষ টহলদল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোদারবিল গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাজেদের ভাড়া করা বসতঘরে অভিযান গেলে মাদক কারবারিরা টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই ঘরে তল্লাশি চালিয়ে নতুন ফরমেটে ৭০০ গ্ৰাম হিরোইন, ৫৩ হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, একটি বিদেশি পিস্তল, ১৪১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি ম্যাগজিন উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় ৭ জনকে পলাতক আসামি করা হয়েছে। পলাতক আসামি হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মধ্যম গোদার বিলের
আবু সৈয়দের ছেলে আবদুল্লাহ (২৮), একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উত্তর লম্বরীর হোছন আহম্মদের ছেলে কাদের (৩৫), একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম গোদার বিলের ইমাম হোসেনের ছেলে সাহেদ প্রকাশ সাজেদ (২৪), একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম গোদার বিলের ইমাম হোসেনের ছেলে শাহ আলম (২০), একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ লেঙ্গুর বিলের হোছন আহম্মদ সাদ্দাম (২৮), দক্ষিণ লেঙ্গুর বিলের বশির আহম্মদের ছেলে আনোয়ার (৩৫) ও গোদার বিলের কালা মিয়ার ছেলে মো. কাসিম।

টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আসামিরা মূলত মাদক ব্যবসায়ী। টেকনাফে মাদক মজুদ ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিন্ডিকেটভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারের কৌশল হিসেবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করছে। এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, এ ঘটনায় সাতজনকে পলাতক আসামি করে টেকনাফ থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো বলেন, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক ২টি নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে

Exit mobile version