parbattanews

টেকনাফে রেঞ্জ কর্মকর্তার দুর্নীতির সংবাদ করায় সাংবাদিককে হুমকি!

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিনের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে হুমকি প্রদান করেন এ কর্মকর্তা। প্রতিবেদকের নাম নুরতাজুল মোস্তফা শাহীন শাহ। তিনি বেসরকারি চ্যানেল আরটিভি, দৈনিক ভোরের কাগজ, দ্য এশিয়ান এইজ ও স্থানীয় পত্রিকা রূপসীগ্রামের টেকনাফ প্রতিনিধি। এ ব্যপারে কক্সবাজার জেলার সাংবাদিক মহল, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, হোয়াইক্যং রেঞ্জের কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিন চলতি বছরের মার্চ মাসে হোয়াইক্যং রেঞ্জে যোগদান করার পর থেকে অনিয়মিত অফিস পরিচালনা, কতিপয় ইটভাটার, করাত কল মালিক ও পাহাড় খেকোদের সাথে গভীর সংখ্যতা তৈরি করে মাসোহারা আদায়, অধস্তনদের সাথে সমন্বয়হীনতা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ ও ১০ অক্টোবর বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে টনক নড়ে ওই কর্মকর্তার।

এরই ধারাবাহিকতায় ৯ অক্টোবর সন্ধা ৬.৪০ টায় নিজ উদ্যোগে প্রতিবেদক শাহীন শাহকে মুঠোফোনে হুমকি প্রদান করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন। তিনি বলেন,‘ পুরো নিউজে আমার বিপক্ষে লিখেছে। কিন্তু ফলাফল ভালো হবেনা। যে লিখছে তারও ফলাফল ভালো হবেনা। সংবাদে যা খারাপ লিখছে অবশ্যই তারও খারাপ হবে। আব্দুল মতিন কাউকে ছাড়েনা।’

ওই সংবাদের প্রতিবেদক বলেন, সরেজমিনে ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন তার মুঠোফোন থেকে হুমকি প্রদান করেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক, রাজনৈতিক, এডভোকেটসহ পেশাজীবি শ্রেণীর প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় তুলে। তারা অবিলম্বে ওই কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

টেকনাফের সিনিয়র সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, হুমকি প্রদান করে তার পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন তিনি। অবিলম্বে শাস্তির দাবি করেন এ সাংবাদিক নেতা।

এডভোকেট নুরুল হোসাইন বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার আচার আচারণ নিন্দনীয় হতে পারেনা। তার মনে রাখা উচিৎ ছিল, তিনি জনগণের মাধ্যমে বেতন ভাতা পাচ্ছেন।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর জানান, বর্তমান সরকারের আমলে দূর্নীতি ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ জানা সত্ত্বেও ওই কর্মকর্তার দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। তা নিউজ হলে এর বিপরীতে ওই কর্মকর্তার (আব্দুল মতিন) হুমকি নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। অনতিবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার বিভাগীয় বনকর্মকর্তা হুমযূন কবির ‘হুমকি দেয়া তার উচিত হয়নি জানিয়ে বলেন এ ব্যাপারে তিনি প্রথম শুনেছেন। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।’

Exit mobile version