parbattanews

টেকনাফে লবণকেন্দ্র

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে হচ্ছে লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় তথা লবণকেন্দ্র। যেখানে সাগর থেকে সরাসরি পানি নিয়ে লবণ উৎপাদন করা হবে। এই কেন্দ্রে থাকছে লবণ প্রদর্শণী প্লট ও গেস্ট হাউজ।

লবণকেন্দ্রের জন্য প্রায় ৪২ শতক জমি দিচ্ছে পানি উন্নয়নবোর্ড (পাউবো)। যা সরেজমিন পরিদর্শন করেছে বিসিক টিম। সরকারি দুইটি অফিসের মধ্যকার প্রক্রিয়া শেষে লবণকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

তথ্যগুলো জানিয়েছেন বিসিক কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশ্তাক হাসান একজন স্বপ্নচারি মানুষ। এখন তার স্বপ্নই আমাদের স্বপ্ন। লবণ শিল্পের দায়িত্ব নেবার পর থেকেই ছুটে চলেছি অবিরামভাবে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের প্রত্যেক উপজেলায় লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় আছে। কিন্তু টেকনাফে নেই। সেখানে উপজেলা পরিষদ ভবনের একটি ভাড়া কক্ষে বিসিকের কার্যক্রম চলতো। তাও ছেড়ে দিতে হয়েছে।

ডিজিএম হাফিজুর রহমান বলেন, পরিকল্পনা করছিলাম টেকনাফে লবণের উন্নয়নে স্থায়ী কিছু করা যায় কিনা। তার জন্য দীর্ঘদিন যাবত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। অবশেষে পাউবোর সহায়তায় পেয়ে গেলাম জমি।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে সভা আছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তারপর সংশ্লিষ্ট অফিস ও মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়া। সব ঠিকঠাক থাকলে সহসাই আমরা টেকনাফে বিসিকের স্থায়ী একটি লবণকেন্দ্র করতে পারব।

হাফিজুর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন, শাহপরির দ্বীপ এমন একটা জায়গা, যার চারপাশেই আমাদের সকল লবণ মাঠ। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় পেয়ে গেলাম সেই কাঙ্খিত জায়গা। এটা এতোটাই প্রমিনেন্ট জায়গা, যেটা আমাদেরকে উজ্জীবিত করবে।

পঞ্চগড় থেকে বাংলাদেশের প্রান্ত সীমানা টেকনাফ পর্যন্ত বিসিকের কার্যক্রম বিস্তৃত। পর্যটনের একটা আধুনিক অঞ্চলে বিসিক অফিসসহ গেস্ট হাউজ হবে। এখন দরকার অফিসিয়াল কার্যক্রম।

Exit mobile version