কক্সবাজারের টেকনাফে সাবারাংয়ের লবণ মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার (২৮ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আশিকানি লবণের মাঠ এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর থেকে অধিনায়কের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল এবং সাবরাং বিওপি থেকে অপর একটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে লবণ মাঠের আইলের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল ৪-৫ জন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে বস্তা হাতে নিয়ে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্ণিত স্থানের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দূর থেকে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের হাতে থাকা বস্তাগুলো ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল সে স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া ৩টি বস্তা উদ্ধার করে। তার ভেতর থেকে ৩ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করে। পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারি বা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে মাদক পাচারকারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, জব্দকৃত মালিকবিহীন ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ শেষে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
