parbattanews

টেকনাফে ১৫ কোটি টাকার ইয়াবা খালাস নিয়ে এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ

টেকনাফ প্রতিনিধি:

টেকনাফের হ্নীলায় ১৫ কোটি টাকার ইয়াবার চালান খালাসকালে স্বশস্ত্র গ্রুপ লুটপাট চালিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় চালান খালাসকারী এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

পুলিশ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ স্ত্রীকে আটক করেছে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন ‘হ্নীলায় ইয়াবা সংক্রান্ত ঘটনাটি শুনেছি। তবে এপর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি’।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার(২৯ নভেম্বর) ভোররাতে হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রজেক্ট সংলগ্ন নাফ নদী পয়েন্ট দিয়ে রঙ্গীখালী লামার পাড়ার বশির আহমদের বড় একটি ইয়াবার চালান খালাসের দায়িত্ব দেয়া হয় স্থানীয় আবু বক্কর ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের। ইয়াবার চালানটি মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসছিল।

ইয়াবা খালাসের বিষয়টি জানতে পেরে একই এলাকার এরশাদ হোছন ও সাদেক হোছনের নেতৃত্বে স্থানীয় গাজীপাড়ার আলোচিত একটি স্বশস্ত্র ভাড়াটে গ্রুপ এই বিরাট ইয়াবার চালানটি লুট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ভোর রাতে ২টি বস্তায় করে আনার সময় ছিনতাইকারী চক্র হানা দিয়ে ইয়াবার একটি বস্তা ছিনিয়ে নেয়। এসময় ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা আবু বক্করের পায়ে এক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, এসময় ৫ লাখ ইয়াবা পাচার হচ্ছিল। যার মুল্য কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা। বিষয়টি নিয়ে সকাল থেকে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে মুখরোচক আলোচনা চলতে থাকে। খবর পেয়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশী টহল দল নিয়ে গুলিবিদ্ধ আবু বক্করের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়িসহ স্ত্রী মিনারা বেগমকে (৩০) আটক করে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলা দায়ের করে ইয়াবাসহ ধৃত মহিলাকে আদালতে প্রেরণের  প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

এদিকে এই মাদকের চালান উত্তোলন, খালাস, ছিনতাই ও মালিক পক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য পৃথক দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে সীমান্তে মাদকের চালান অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে নাফ নদী নির্ভর জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করা হলেও মাদক সম্রাটদের অপতৎপরতা বন্ধ না হওয়ায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

Exit mobile version