বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪.২৭৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৫ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, রবিবার (৩১ জুলাই) বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, টেকনাফ দমদমিয়া জালিয়ারদ্বীপ বরাবর নাফ নদী দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের দিক-নির্দেশনায় উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ লতিফুল বারীর নেতৃত্বে ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি হতে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল রাতে জালিয়ারদ্বীপে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। টহলদল জালিয়ারদ্বীপে অবস্থানকালে ভোর ৫ টার সময় ৩/৪ জন লোককে একটি কাঠের নৌকা নিয়ে মিয়ানমার হতে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়ারদ্বীপের দিকে আসতে দেখে। বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে ধাওয়া করলে তারা নৌকা থেকে লাফিয়ে নাফ নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে এবং ডুব সাঁতার দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল নৌকাটি উদ্ধার করে নৌকার পাটাতনের নিচ হতে এবং মাছ ধরার জালের ভিতর পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দুইটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৪.২৭৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হন। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে একটি কাঠের নৌকা এবং ২৫ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটককৃত মাদকদ্রব্য, কাঠের নৌকা ও কারেন্ট জালের আনুমানিক বাজারমূল্য ২৫ পঁচিশ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ৬.৩০ মি. পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেন জানান বিজিবি।
