টেকনাফে ৩ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের পৃথক অভিযানে ৩ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই পাচারকারীকে আটক করেছে র‌্যাব।

আটকৃতরা হলেন, চট্রগ্রাম লোহাগাড়া পূর্ব কলাউজান এলাকার কবির আহমেদের ছেলে মো. জাকারিয়া(৩৫) ও টেকনাফ পৌরসভা জালিয়া পাড়া এলাকার আলী জোহারের ছেলে আব্দুল হক(৩৩)।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় র‌্যাব-১৫ টেকনাফ সিপিসি-১ এর কোম্পানী কমান্ডার লে. মির্জা শাহেদ মাহতাবের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল পৌরসভা উপরের বাজার বার্মিজ মার্টেক সংলগ্ন আফিফা আলম হিমু মার্কেট এর আক্তারে কাপড়ের দোকানের ভেতরে অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজার পিস ইয়াবা সহ ওই দুই যুবককে আটক করতে সক্ষম হন।

এ দিকে ২৮ জানুয়ারি দুপুরে ২ বিজিবির চিত্ত বিনোদন কক্ষে অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান সংবাদ সম্মেলন করে জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপির একটি বিশেষ টহল দল আইয়ুবের ঝোঁড়ায় অভিযান পরিচালনা করে ২ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে।

তিনি আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপির একটি বিশেষ টহল দল পাশ্ববর্তী নাফ নদীতে বোট নিয়ে ওতপেতে থাকে। পরবর্তীতে ওই সময় ৩ জন ইয়াবা কারবারি বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকতে থাকে। এ সময় বিজিবি এগিয়ে চ্যালঞ্জ করলে পাচারকারীরা তাদের সাথে থাকা তিনটি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। ওই টহল দল বস্তাগুলো উদ্ধার করে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যোর ২ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। সেই সাথে সম্ভাব্য স্থানে রাতভর অভিযান চালিয়ে কাউকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো সদর ব্যাটালিয়নের জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তী উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।

কে এই আইয়ুব?

মো. আইয়ুব হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। এক সময় জেলে ছিল। নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে পারলেই তার জীবিকা নির্বাহ হতো। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে ইয়াবার বদৌলতে তার চালচিত্র পাল্টে যায়। তিনি ও তার ভাই মো. কায়েস মাদকের সাথে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এদের মধ্যে আইয়ুব গডফাদার হলেও তার সাইজের আকৃতি ছোট হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাই দুই সহধর্মীর্ণী মিয়ানমারের হলেও কৌশল অবলম্বন করে বাংলাদেশী আইডি কার্ড তৈরি করে চলাফেরা করে থাকে। স্ত্রীদের পূর্ব পুরুষ মিয়ানমারে হওয়ায় তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে ইয়াবা ব্যবসা অব্যাহত রাখে। ইয়াবার বদৌলতে একাধিক বাড়ি ও জমি ক্রয় করে মো. আইয়ুব। এই আইয়ুবের ঝোঁড়া থেকে ওইসব ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়। এই ব্যাপারে আইয়ুবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন