টেকনাফ- কক্সবাজার মহাসড়কের উখিয়া-থাইনখালী অংশের সংস্কার ও কার্পেটিং কাজে অনিয়ম দূর্নীতি ও ধীরগতির অভিযোগ

teknaf pic

টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফ- কক্সবাজার মহাসড়কের উখিয়া থাইনখালী সড়কের জিরোপয়েন্ট থেকে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ সড়কের জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার সড়ক মেরামত এবং কার্পেটিং কাজে অনিয়ম দুর্নীতি, ধীরগতি ও কাজের নামে তামাশসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ৪২ কিঃ মিঃ সড়ক সংস্কার ও কার্পেটিং কাজের জন্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়। গত জুলাই/১৩ মাসে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়। এ কাজ পেয়েছেন ফজল বিল্ডার্স লিঃ নামে একজন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর জুন/১৪ নাগাদ এ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজের গুনগতমান অত্যন্ত ধীরগতি।

অভিযোগ উঠেছে সড়ক সংস্কার ও কার্পেটিং কাজে পাহাড়ী চরার পাথর ও নিম্নণমান সামগ্রী ব্যবহার করছে। এছাড়া সড়কের উভয় পাশ্বে মাটির পরিবর্তে বালি প্রদান করা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিশ্রামগার হতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পর্যন্ত প্রায় দেড় কিঃ মিঃ সড়কের উভয় পার্শ্বে খাদে পরিনত হয়েছে। সড়কের উভয় পাশ্বে পাকা গাইড ওয়ালের পরিবর্তে মাটি দেয়া হচ্ছে। বর্ষা মওসুমে এবং পাহাড়ী ঢলে সড়ক খান খান হয়ে যাবার আশংখা রয়েছে। তাই  পৌরবাসী সড়কের উভয় পাশ্বে নীচু স্থানে পাকা গাইড ওয়াল স্থাপন করলে সরকারে প্রদত্ত অর্থ অপচয় হবেনা এবং সেই সাথে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাবে।

কাজের অগ্রগতি দেখে মনে হয় এ কাজ চলতি অর্থ বছরের আগে  আদৌ সম্পন্ন হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। এমন মন্তব্য করছেন টেকনাফ সীমান্তের সচেতন মহল। জানা যায়, কাজের মান এবং অগ্রগতি ও ধীরগতি সম্পর্কে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি অসন্তোষ্ঠ এবং কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদার ফজল বিল্ডার্সকে বারংবার লিখিতভাবে আদেশ প্রদান করলেও এর প্রতি উক্ত প্রতিষ্ঠান কোন আমলই করছেননা। ফজল বিল্ডার্স এর খুটার জোর নাকি বেশী এবং তার প্রতিষ্ঠানের লোকেরা বলছেন, যোগাযোগমন্ত্রী নাকি তাদের নানা। সে সুবাদে তারা কাউকে তোয়াক্কা করছেননা।

এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তদারকী পিএম মোঃ রফিকের সাথে ফোনে জানতে চাইলে উক্ত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আপনারা শুনা কথা নিয়ে বিশ্বাস করবেননা। কাজের স্থলে এসে দেখুন কাজ কেমন চলছে। কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছেনা। তবে পাথরের সমস্যার কারণে কাজ সঠিক সময়ে শেষ হতে দেরী হচ্ছে। সময় বাড়ানোর জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যে আবেদন নিবেদন করেছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন