টেলিটকের অপহৃত পাঁচ কর্মকর্তার দ্রত উদ্ধারের দাবীতে খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি

জেলা সংবাদদাতা, খাগড়াছড়ি:
রাষ্ট্রায়ত্ত মুঠোফোন কোম্পানি টেলিটকের কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বি টেকনোলজির প্রকৌশলীসহ অপহৃত পাঁচ কর্মকর্তার উদ্ধারে প্রশাসন কর্তৃক দ্রত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে বুধবার পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি ।

 পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক এস,এম মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, অপহৃতদের পরিবারের উদ্বেগ, উৎকন্ঠা ও স্বজন হারানোর আশঙ্কা প্রতিনিয়তই দানা বাধছে। প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রম হতে চললেও অপহৃতদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা অত্র এলাকার সাধারন মানুষদের মনে হতাশার উদ্বেগ করেছে। তাদের নিকট নিরাপত্তা বাহিনীর অকার্যকরতার পাশাপাশি সাধারন মানুষের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি আরও মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। সমগ্র পার্বত্যবাসী আজ কতিপয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি এই আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। শান্তিপ্রিয় পার্বত্যবাসী আজ তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই অবস্থা চলতে দিলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বহুল প্রত্যাশিত শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়বে। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিপ্রিয় জনগন ক্ষোভে ফুলে-ফেপে উঠতে পারে যা পরবর্তিতে মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

এমতাবস্থায়, টেলিটকের কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বি টেকনোলজির অপহৃত পাঁচ কর্মকর্তাকে অক্ষত অবস্থায় দ্রত উদ্ধারে কার্যকর প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানাচ্ছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। পাশাপাশি পার্বত্য খাগড়াছড়ি সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি আনয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ সরকারের নিকট নিম্নলিখিত দাবীসমূহ বাস্তবায়নের জোর দাবী জানায়।
১.চাঁদাবাজি ও অপহরণ বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২.চাঁদাবাজি, অপহরণ বাণিজ্য, আধিপত্য বিস্তারের নিমিত্তে অস্ত্রবাজি, বিভিন্ন গ্রপের কোন্দলের দরূন প্রাণহানি, হত্যা, গুম ইত্যাদি অপকর্মের ধারক-বাহক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোকে (ইউপিডিএফ, জেএসএস, সংস্কারপন্থি এবং এদের সমর্থিত অঙ্গসংগঠন) চরমপন্থি/উগ্রপন্থি হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩.চরমপন্থি/উগ্রপন্থি হিসেবে আখ্যাপ্রাপ্ত সংগঠনগুলোকে সামাজিক ও জাতীয়ভাবে হেয়পতিপন্ন করার ব্যবাস্থা করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি এদের নির্মূলে প্রয়োজনে সামরিক অভিযান পরিচালনার ব্যাবস্থা করতে হবে।
৪.পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায় নিরাপত্তা ঝুকিপূর্ণ অঞ্চলসমূহ চিহ্নিত করে সেখানে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে অস্থায়ী সেনাক্যাম্প স্থাপনের ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে।
সরকারের নিকট উপরোক্ত দাবীসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি আনয়নের পথ প্রশস্ত করার আহ্বান জানায় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন