উন্নয়ন কাজে বালু সরবরাহের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিই-এর ম্যানেজারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

fec-image

মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নিরু এন্টারপ্রাইজের ২ কোটি ৭৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশের শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান- ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (এনডিই) এর হেড অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার (প্রকিউরমেন্ট) মোহাম্মদ কাউসার হোসাইনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।

অন্যান্য আসামিরা হলেন, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রকিউরমেন্ট) শাহিন, কক্সবাজার টিবিসি প্রজেক্ট ম্যানেজার রেজাউল করিম, সাইট ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদ আলম, লুৎফুর রহমান, কম্পিউটার অপারেটর আল হাসান, স্টোর কিপার মোহাম্মদ মাজহারুল হক, অভি রায় ও মনির।

নিরু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জামান নিরু বাদী হয়ে গত ২৭ অক্টোবর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কক্সবাজার সদর আদালতে মামলাটি করেন। যার মামলা নাম্বার সিআর-৯৫৮/২০২২ইং। বাদী কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লীর বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ছেলে।

মামলাটি শুনানি শেষে পুলিশ পরিদর্শক সদর সার্কেলকে তদন্তপূর্বক দ্রুত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মো. আবুল মনছুর সিদ্দিকী।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রুহুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে সদর সার্কেলকে আদেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আদেশ দিবে আদালত।

রবিবার (৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সদর সার্কেলের ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, মামলার কপি হাতে পেয়েছি। আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান নিরু বলেন, এনডিই এর টিবিসি প্রকল্পে ২০২১ সালের ২ নভেম্বর থেকে এই পর্যন্ত শহরে যত উন্নয়ন কাজ হয়েছে ও হচ্ছে সব কাজে ‘সিলেটি বালি’ সরবরাহ করেছি আমি। প্রথমে কয়েকবার কার্যাদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) দেয়। পরে কার্যাদেশ ছাড়াই কলাকৌশলে মালামাল নিতে থাকে।

দেশব্যাপী এনডিই এর সুনামকে পুজি করে তারা বিশ্বাস জন্মায়। টাকার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে কার্যাদেশ দিবে বলে আশ্বস্ত করে। সরল বিশ্বাসে নিয়মিত ‘সিলেটি বালি’ সরবরাহ করি। পরে বিলের টাকার বিষয়ে অবগত করলে ‘বিল পাশ হতে সময় প্রয়োজন আছে’ জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। কিছু দিন পর বিলের টাকা চাইলে ‘কোন টাকা পাওনা নাই’ বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

বাদী বলেন, জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিলের ২ কোটি ৭৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৭ টাকা আত্মসাত করেছে। যদিওবা এনডিই-এর অফিসিয়াল ডকুমেন্ট অনুযায়ী টাকা পাওনা আছি। আমার পাওনা টাকা সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সরিয়ে ফেলার পূর্বে সংগ্রহ করে রাখি।

পাওনা টাকা উদ্ধার ও আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান নিরু।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, টাকা আত্মসাত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন