মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর ইউনিয়নের পশ্চিম পাশের এলাকায় গড়ে উঠা বালির চরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রমজান আলী নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান অবৈধ ভাবে বালি তুলে নিচ্ছে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য।
একই কায়দায় আবদুল্লাহ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের লোকজন সাইরারডেইল পশ্চিমে ড্রেজার বসিয়ে বালি তুলে পূর্ণবাসন প্রকল্পে বালি নিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের একটি মহল বলে স্থানিয় লোকজন জানিয়েছেন।
ফলে উপজেলার মাতারবাড়ী পশ্চিম পাশে গড়ে উঠা প্রতি রক্ষামূলক চরটি বিলিন হতে যাচ্ছে। এ ভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে সাগরের প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে মাতারবাড়ী সাগরে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশংকা করেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের লোকজন।
স্থানিয় সাইর ডেইল বেঁড়িবাধ এলাকার বাসিন্দা হাসিনা আক্তার বলেন, বর্ষা আসলে এমনিতে রাতে ঘুম হারাম হয়ে যায়। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার ভয়ে। তবে রক্ষামূলক চরটি বিলিন করে বালি উত্তোলন করার ফলে আমাদের বসতবাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে দুই শতাধিক পরিবার।
জানাগেছে, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকার সুযোগে স্থানিয় একটি প্রভাবশালী চক্রের সহযোগিতায় বিনা বাধাঁয় উপজেলার মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন পয়েন্টে নদীতে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। সরকারি কাজের দোহাই দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পরে জন্য চক্রটি নদী থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন চালাচ্ছে।
এতে করে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের কারনে পাশ্ববর্তী গ্রাম ও ভাঙ্গনের সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি এলাকায় মারাত্বক ভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।
মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, বার বার ড্রেজার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকাদা দিলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টান তা মানছেনা।
এদিকে মেসার্স রমজান আলী এন্টার প্রাইজ এর মালিক রমজান আলী থেকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়লা বিদ্যুৎ অধিগ্রহনকৃত জায়গা থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে, পুরো মাতারবাড়ীই এখন কয়লা বিদ্যুৎতের, এখানে কারো কোন আপত্তি থাকার বিষয় নয়।
মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, নদীতে মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলনের কথা কেউ আমাকে বলে নি। তবে তদন্ত পূর্বক এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।