ড্রেনভর্তি কাদাপানি রেখে ঢালাই

fec-image

কক্সবাজার পৌরসভার ড্রেনের কাজের ধরণ ও মান নিয়ে অভিযোগ ওঠেছে। চলছে যেনতেনভাবে ঢালাইয়ের কাজ। নেই কোন তদারকি। ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রেনের ময়লা পানি।

স্থানীয় বাসিন্দা, দোকানদার ও পথচারীরা পৌরসভার চলমান ড্রেনের উন্নয়ন কাজ নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নয়। তারা এতে চরম অনিয়ম দেখছে।

শুক্রবার (৪ জুন) বেলা ২টার দিকে শহরের এন্ডারসন রোডের বাসিন্দারা ড্রেনের কাজ নিয়ে পার্বত্যনিউজকে ফোনে অবগত করে। তাদের অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব-পশ্চিম ড্রেনটিতে ১০ জন মতো শ্রমিক কাজ করছে।

এখানে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ময়লা ও কাদা পানিতে পলিথিন বিছিয়ে চলছে ঢালাই কাজ।
পরিমাণ মতো সিমেন্ট, বালি, পাথর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে, সঠিকমাত্রা সম্পর্কে ল্যাব পরীক্ষার আগে নিশ্চিত বলা যাবে না।

জনগুরুত্বপূর্ণ এই কাজে পৌর মেয়র, প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের তদারকি বাড়ানো দরকার মনে করেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানকে ফোন দিলে পাওয়া যায় নি।

সহকারী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম আজাদ (বাবুল) এর নিকট জানতে চাইলে মুঠোফোনে বলেন, আজকে তো শুধু টপ ঢালাই (স্লেভ) কাজ করার কথা। সিসি বা আরসিসির কাজ করার কথা না। তবু খোঁজ নিয়ে দেখছি।

প্যানেল মেয়র শাহেনা আকতার পাখির নিকট জানতে চাইলে বলেন, কাজ দেখভালের জন্য আলাদা দায়িত্ব দেয়া আছে। তবু আমি সরেজমিন গিয়ে দেখি কি করা যায়।

পৌরসভার প্রকৌশলী টিটন দাশ বলেন, বাজারের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যে পরিমাণ পানি আসছে তার কারণে ড্রেনের কাজ মজবুত হবে না। পানি জমে থাকায় কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। কাজের সুবিধার্থে অস্থায়ী সিসি করছে, তা অতিরিক্ত। পানি শুকিয়ে গেলে প্ল্যান আনুযায়ী কাজ করা হবে। তবু কোথাও কোন অনিয়মের অভিযোগ পেলে অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান প্রকৌশলী টিটন দাশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা রোড হয়ে এন্ডারসন রোড, বাজারঘাটা, টেকপাড়া চৌমুহনি হয়ে খুরুশকুল রাস্তা পর্যন্ত সড়ক ও ড্রেনের কাজে অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। আরো ৯টি মতো উপ-সড়ক রয়েছে এই প্রকল্পভুক্ত। একই সঙ্গে চলছে শহীদ সরণির সড়কের ড্রেনের কাজ। চলমান কাজগুলোর চেয়ে বড় কোন প্রকল্প পৌরসভার ইতিহাসে নেয়া হয়নি। পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব উন্নয়ন কাজ শেষ হলে পৌর এলাকার চেহারা বদলে যাবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সাথে সমন্বয় থাকা দরকার বলছে নাগরিকরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন