parbattanews

ঢাকায় মাইক্রোবাসে তুলে উপজাতি তরুণীকে গণধর্ষণ: আলামত মিলেছে

গণধর্ষণ
নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সিনা সিএনজি মোটর স্টিল কোম্পানির সামনে থেকে গাড়ির জন্য অপেক্ষমান এক উপজাতি তরুণীকে (২১) ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে মাইক্রোবাসের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে অজ্ঞাত পাঁচ যুবক। এ ঘটনায় ভিক্টিম তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ডাক্তাররা গণধর্ষণের আলামতও পেয়েছেন।

ধর্ষিত‍া ওই গারো তরুণী যমুনা ফিউচার পার্কের একটি শো-রুমে সেলস ম্যানের কাজ করে বলে জানা গেছে।তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানায়।দুই-তিন বছর আগে তিনি ঢাকায় আসেন।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে গারো তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ ও পরীক্ষা শেষে ফরেনসিক বভিাগের প্রধান প্রফেসর ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী গণধর্ষণের আলামতও পেয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘তরুণীর বয়স এবং ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য এক্স রে এবং ‘হাইভেজানলসোয়াব’ করে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে পাঠাবো। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো।’

এর আগে সকাল ১১টার দিকে গণধর্ষণের অভিযোগকারী গারো তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তেজগাঁওয়ের ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে আসা হয়। ফরেনসিক বিভাগের ডা. মমতাজ আরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা তত্বাবধান করেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে ভাটারা থানায় নিজে উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২৬।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল ওই তরুণী। আকস্মিক অজ্ঞাত একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং মাইক্রোবাসেই পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞাত ওই পাঁচ যুবক তরুণীকে ধর্ষণ শেষে উত্তরা পূর্ব থানাধীন জসিম উদ্দিন রোডের মাথায় ফেলে রেখে চলে যায়।

ভাটার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Exit mobile version