তবলছড়ির হালিমা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে খাগড়াছড়িতে মহিলা ফোরামের মানববন্ধন

Untitled-1

জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী তবলছড়ি ইউনিয়নে স্বামী ও শ্বাশুড়ী শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে নিহত গৃহবধূ হালিমা খাতুন (২৫) হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আজ সোমবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।

জেলা শহরের আদালত সড়কস্থ খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সম্মুখে এ মানববন্ধনে অংশ নেয় নিহত হালিমা বেগমের মা হাসিনা বেগম, নির্যাতিত পরিবারের সদস্যবর্গ ও আত্মীয়-স্বজনসহ মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ।

মানববন্ধন শেষে সমাজতান্ত্রিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও পরিবারের সদস্যরা বলেন, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার কিছু আসামী জামিন পাওয়ায় নিহত হালিমার মা হাসিনা বেগমসহ পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে চাপ প্রয়োগসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ মামলার প্রধান আসামী নিহত হালিমার স্বামী আব্দুর রশিদকে জামিন বন্ধ রাখাসহ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী জানান।
 
উল্লেখ্য, স্বামী ও শ্বাশুড়ীর নির্যাতন ও কেরোসিন দিয়ে আগুন দিয়ে অগ্নিদ্ধগ্ধ হয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল নয়টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদ এর মেয়ে গৃহবধূ হালিমা খাতুন।

নিহত হালিমার পিতা জানান, ৪ বছর আগে আবদুর রশিদের সঙ্গে তার মেয়ে হালিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে তার স্বামী-শাশুরী হালিমার উপর নির্যাতন চালায় । এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হয়। সর্বশেষ অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় গত ২৩ এপ্রিল সোমবার মধ্যরাতে হালিমাকে প্রথমে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে পরদিন মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে ২৫ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর ১৬ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বুধবার গৃহবধূ হালিমা খাতুন মারা যায়। এঘটনায় পুলিশ হালিমার মামা শশুর সিরাজুল ইসলাম (সিরন), স্বামী মো: আবদুর রশিদ ও শাশুরী হাজেরা খাতুনসহ তিনজনকে আটক করে। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন