parbattanews

তাইন্দং পাহাড়ি গ্রামে হামলার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ’র নিন্দা: আজ প্রতিবাদ সমাবেশ, কাল জেলাব্যাপী সড়ক অবরোধ

1146491_390777337690501_896816855_n

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
বাঙ্গালী মোটর সাইকেল চালককে অপহরণের জের ধরে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গার তাইন্দং এ পাহাড়ি গ্রামে বাঙালীদের হামলা, লুটপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউপিডিএফ এবং একই ঘটনার প্রতিবাদে  রবিবার প্রতিবাদ সমাবেশ ও  ৫ আগস্ট খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ইউপিডিএফ প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক ই-মেইল বার্তায় এ  কর্মসুচীর খবর জানানো হয়। তবে এম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়ি, জরুরী বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস এবং সংবাদপত্র ও সংবাদ কর্মীদের বহনকারী গাড়ি অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে ই-মেইল বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

এদিকে পৃথক এক বার্তায় ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক প্রদীপন খীসা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেটলাররা গত বেশ কয়েকদিন ধরে মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টি করে তাইন্দং এ পাহাড়ি গ্রামে হামলার ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ৩১ জুলাই বুধবার রাতে সেটলাররা ফটকাবাজি ফুটিয়ে ‘সন্ত্রাসী এসেছে সন্ত্রাসী এসেছে’ বলে মাইকে চিৎকার দিয়ে তাইন্দং বাজারে জড়ো হয় এবং পাহাড়ি-বিরোধী শ্লোগান দিয়ে গভীর রাতে মিছিল বের করে। এ সময় তাদের হামলার আশঙ্কায় পার্শ্ববর্তী হেডম্যান পাড়া, বগা পাড়া, পোমাং পাড়া, তানাক্কা পাড়া ও ৩নং কলিন্দ্র কার্বারী পাড়ার ২৫৭ পরিবার পাহাড়ি গ্রাম ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। ইতিপূর্বেও সেটলাররা বেশ কয়েকবার পাহাড়ি গ্রামে হামলা চালায়।

ইউপিডিএফ নেতা প্রশাসনের বিমাতাসূলত আচরণের সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসন পাহাড়িদের উপর একের পর এক হামলা ও হামলা প্রচেষ্টা সত্বেও তাদের নিরাপত্তার জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি এবং হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও কোন ধরনের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ কারণে সেটলাররা নিরীহ পাহাড়িদের উপর এভাবে দিনে দুপুরে বর্বরোচিত হামলা চালানোর দুঃসাহস পাচ্ছে।

তিনি অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, ভারতে পালিয়ে যাওয়া পাহাড়িদের জানমালের নিরাপত্তার গ্যারান্টিসহ ফিরিয়ে আনা এবং আত্মরক্ষার জন্য পাহাড়িদের সশস্ত্র গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের অনুমতি প্রদানের দাবি জানান।

Exit mobile version