parbattanews

তানজিম সাকিবের প্রশংসায় ভারতীয় দুই তারকা ক্রিকেটার

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাজিমাত করেছে বাংলাদেশ দল। এবারের এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন রোহিত শর্মারা বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচটিতে হার মেনেছে। ম্যাচটিতে আলো ছড়িয়ে নজর কেড়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তরুণ বাংলাদেশী ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব। আর তারই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ভারতের সাবেক দুই ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক ও অনিল কুম্বলে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রানের সংগ্রহ গড়ে টাইগাররা। জবাবে ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করে ভারত। এতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৬ রানে জয় পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

তানজিম সাকিব বোলার হলেও অভিষেক ম্যাচের শেষদিকে ব্যাট হাতে নেমে ৮ বল খেলে এক চার ও এক ছক্কার সাহায্যে ১৪ রান করেন। এরপর বল হাতে ৭.৫ ওভারে ১টি মেডেন ও ৩২ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। যেখানে ভারতের দলপতি ও অন্যতম ভরসার নাম রোহিত শর্মার উইকেট রয়েছে। রয়েছে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান তিলক ভার্মার উইকেটও।

ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে তানজিম সাকিবকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভারতের সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটার দিনেশ কার্তিক। তিনি বলেছেন, ‘তানজিম সাকিবের বোলিং দেখে মনে হচ্ছে তার জন্য দুর্দান্ত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সে বাদেও আরও কয়েকজন বাংলাদেশি বোলার অদূর ভবিষ্যতে দারুণভাবে ভূমিকা রাখবে।’

ভারতীয় কিংবদন্তি লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে বলেছেন, ‘তানজিম হাসান সাকিব দুর্দান্ত ছিল। সে যেভাবে খেলেছে সেটি সহজ নয়। নতুন বলে গতি দিয়েছে। তাতে সব ব্যাটসম্যানই তার বিপক্ষে ভুগেছে। নতুন বলে তার চেয়ে ভালো কেউ ছিল না। ডেথ ওভারেও সে ভালো করেছে।’

এদিকে তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে দেশজুড়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একটি পোস্টকে ঘিরেই এই বিতর্কের সূত্রপাত। ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছিলেন তরুণ এই পেসার।

ওই পোস্টে লেখা, স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।

Exit mobile version