parbattanews

তিতলীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪ পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান

টেকনাফ  প্রতিনিধি:

তিতলীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ১২ অক্টোবর বিকালে উপজেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া, দক্ষিণপাড়ার  দুটি গ্রাম পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বিলীন হয়ে যাওয়া টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের তিন হাজারের অধিক বাসিন্দা অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে ঘূর্নিঝড়ে।

গত দুই দিনে দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় বেড়িবাঁধ না থাকায় সাগরের অস্বাভাবিক জোয়ারে মসজিদসহ শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এসব ঘরের লোকজন টেকনাফসহ অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এইভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিনে শাহপরীর দ্বীপের মাঝারপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার আরও দুই শতাধিক ঘর সাগরে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সাগরের জোয়ারের পানিতে দ্বীপের মাঝারপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে যাওয়ায় প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। গত পাঁচ বছর আগে দ্বীপের পশ্চিম দিক থেকে তিন কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর থেকে দ্বীপের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া খোলা বাঁধ যদি মেরামত না করা হয় তবে আগামী কয়েকদিনের ভেতর আরও শতাধিক ঘর সাগরে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বীপের বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ মুহূর্তে দ্রুতগতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো নির্মাণ করা না গেলে পুরো দ্বীপ সাগরে তলিয়ে যাবে।

পরিদর্শনকালে তিতলীর  রেখে যাওয়া তাণ্ডবের চিহ্ন দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান অবাক হয়ে উপস্থিত লোকজনকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে চাউল বিতরণ করা হবে।  ক্ষতিগ্রস্তদের  ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে।

পরে খবর পেয়ে স্থানীয় এমপি আবদুর রহমান বদি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে পাউবো কক্সবাজারের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহপরীর দ্বীপের প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে এক কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা করছি। তবে যে খোলা বাঁধ থেকে সাগরের পানি ঢুকছে সেখানে জিও ব্যাগ বসানো হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর-দক্ষিণের দুই কিলোমিটারের ভেতর যেসব ঘরবাড়ি রয়েছে সেখানে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। যে স্থান থেকে পানি ঢুকছে সেখানে আবারও বালির জিও ব্যাগ ও বস্তা বসানো হবে। পুরো তিন কিলোমিটারের কাজের মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাজ শেষ করা হবে। ’

Exit mobile version