parbattanews

তিন বাঙালী ব্যবসায়ী হত্যার বিচারের দাবিতে বুধবার বান্দরবানে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

হরতাল

স্টাফ রিপোর্টার:

তিন বাঙালী ব্যবসায়ী হত্যার বিচারের দাবিতে বুধবার বান্দরবান জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পাবর্ত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ

মঙ্গলবার পাবর্ত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এর যৌথ  উদ্যোগে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান  ও পাবর্ত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ  এর প্রতিষ্ঠাতা, ইঞ্জিনিয়ার মো. আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে  ঢাকায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে  বিকেল ৩টায় এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত শুক্রবার আলীকদম থেকে ৩ গরু ব্যবসায়ী অপহৃত হওয়ার ৩ দিন পর সোমবার  সকালে তাদের হাত পা বাঁধা অবস্থায় পোড়ানো ও  জবাই করা বিভৎস লাশ  পাওয়া যায়। বৈঠকে এ জন্য উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের দায়ী করে এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পাবর্ত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি  আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন,সংগঠনের মহাসচিব এড. এয়াকুব আলী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো: রাজু, প্রভাষক মো:ফজলুল হক, ইঞ্জি.ড. মাকসুদুর রহমান, ইঞ্জি. আলী নুর ,পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো:সাব্বির আহমেদ, সেক্রেটারী মো: সারোয়ার  জাহান খান, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ঢাকা মহানগর কমিটির আহবায়ক-মো: মনির হোসেন, ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি সাহাদাত হোসেন সাকিব, সেক্রেটারী এডভোকেট সারোয়ার প্রমুখ ।

সভায়  পার্বত্য নাগরিক পরিষদ-এ  হত্যাকান্ডের খুনীদেরকে গ্রেপ্তার দোষীদের বিচার, মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে যথাযত ক্ষতিপুরণ দেওয়া ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বান্দরবান জেলায় আগামীকাল বুধবার  সকাল-সন্ধা হরতাল কর্মসূচী পালন করা হবে। খুনীদের গ্রেপ্তার ও পার্বত্য বাঙ্গালীদের ৮ দফা দাবি  আদায়ের  লক্ষ্যে আগামীকালের  হরতালের কর্মসূচী পালন করবার জন্য সকলকে আহবান জানানো হয়।এর পরেও যদি খুনীদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে শীঘ্রই লাগাতার কর্মসূচী ঘোষণাির মাধ্যমে পার্বত্য এলাকাকে অচল করে দেয়া হবে বলে বৈঠকে হুমকি দেয়া হয় ।

সভায়,নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া  বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বক্ষেত্রে বাঙ্গালীদের  সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে, গোয়েন্দা নজর দারী বাড়াতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে র‌্যাব এবং সেনাবাহিনী দিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। সন্ত্রাসের গডফাদার  সন্তু লারমা গং কর্তৃক লালিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ভিতর পার্টির (জেএসএস, ইউপিডিএফ, জেএসএস সংস্কার) কর্তৃক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

Exit mobile version