parbattanews

তীব্র গরমে বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়াই পরীক্ষা দিলো উখিয়ার ৪০০ এসএসসি পরীক্ষার্থী

কক্সবাজারের উখিয়ার একটি এসএসএসি কেন্দ্রে নির্মাণাধীন ভবনে পরীক্ষা নিচ্ছে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়া এই ভবনের ১২টি কক্ষে নেই বিদ্যুৎ সুবিধা, বৈদ্যুতিক পাখার অভাবে তীব্র গরমের মাঝে পরীক্ষা দিতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে ৪০০ এসএসসি পরীক্ষার্থী।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সারাদেশে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত বাংলা ১ম পত্র বিষয়ের পরীক্ষা শেষে উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এসব পরীক্ষার্থীরা জানায় পরীক্ষা চলাকালীন তাদের দুর্ভোগের কথা।

পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমানা আক্তার জানায়, “আমার হলে ফ্যান নেই, পরীক্ষায় লিখতে গিয়ে খুব কষ্ট হয়েছে। গরমে বারবার ঘেমে যাচ্ছিলাম, অস্বস্তিতে সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারিনি।”

অভিভাবকদের দাবি পরবর্তী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করা হোক।

মোহাম্মদ সেলিম নামে স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, “আমার মেয়ে নতুন ভবনে পরীক্ষা দিয়েছে, অই ভবনটা পুরোপুরি নতুন। গরমের কারণে সে হলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো, ফ্যান থাকলে এই অসুবিধা হতো না। “

এদিকে এই কেন্দ্রের তিনটি ভবনের ১৮টি কক্ষে উপজেলার ৪টি বিদ্যালয়ের ৯৬৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আসন সংকট সমাধানে নতুন ভবনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানালেন কেন্দ্র প্রধান ও বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ফাতেমা জাহান চৌধুরী।

বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, “নতুন ভবনটি সবেমাত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এবছর কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আসন সংকট সমাধানে সেখানে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। পরবর্তী পরীক্ষায় যাতে বাচ্চারা সুন্দর করে পরীক্ষা দিতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হলে আমরা এই সমস্যা সমাধান করতে পারবো”।

এদিকে কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা গ্রহণের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব।

তিনি বলেন, “উপজেলায় এসএসসি, দাখিল, ভোকেশনাল পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিভাবকদের প্রত্যাশা পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করবে উপজেলা প্রশাসন ও কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Exit mobile version