ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির আশ্রয় নিবেন না, বড়ই কষ্টে কর্মহীন মানুষ
সারাবিশ্বে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এ যাবৎ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৯ লক্ষ ৩৪ হাজারেও অধিক মানুষ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজারেও অধিক মানুষের। বাংলাদেশেও প্রতিদিন নতুন আক্রান্ত ও মৃতের খবর আসছে। এ যাবৎ বাংলাদেশেও এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। ভাগ্য ভালো যে, রাঙ্গামাটি জেলায় এখনও পর্যন্ত কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে রাঙ্গামাটিতে যারা বিদেশ ফেরত ছিল, তারা অনেকই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। আবার অনেকের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায় বাড়িও ফিরেছেন। প্রতিনিয়ত চলছে নমুনা সংগ্রহ। তবে এখনো পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহের সব রির্পোটই নেগেটিভ এসেছে।
কালসাপময়ী এ ভাইরাস থেকে একমাত্র বাঁচার উপায় হচ্ছে ঘর থেকে বের না হওয়া। তাই সরকারিভাবে অঘোষিত লকডাউনে অনেকেরই জীবন-জীবিকার সামনে রীতিমতো হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। দেশের প্রতিটি জেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রাশাসন। তার ন্যায় রাঙ্গামাটিতেও। ফলে মানুষের আনাগোনা কমার পাশাপাশি জনজীবনেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ এখন কার্যত অচল। সেই সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুরসহ অনেকেই। অথচ এদের একদিন কাজ না করলে এদের চুলায় আগুন জ্বলে না, না খেয়েই থাকতে হয় পরিবার নিয়ে। তবে সরকারিভাবে বা বেসরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করছেন অনেকেই। বেসরকারিভাবে কিছুটা সুষ্ঠু বণ্টন হলেও, সরকারের কঠোর অবস্থানের মধ্যেও সরকারিভাবে সহায়তা নিয়ে বরাবরই কিছু অমানুষ তাদের স্বার্থ উদ্ধারে লুটেপুটে খাচ্ছে এসকল অসহায় অনাহারদের খবারগুলো।
ফলে শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষদের নাম টাকার মাধ্যমে যেন লিপিবদ্ধ না করা হয়। এই দাবি করেছেন, কর্মহীন হত দরিদ্র মানুষ। কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে সঠিক বন্টন করতে সরকারের পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি ও সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। এাণ বন্টনে কোনরকম দুর্নীতি সরকার বরদাশত করবে না। তবুও দেশের বিভিন্ন জেলায় গরীবের ত্রাণ চুরি করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। এই সব জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া দরকার। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি ও ত্রাণ চুরি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য রাঙ্গামাটি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে দেশের পরিস্থিতি যতই ভয়াবহ হচ্ছে ততই সাধারণ ছুটি বাড়ছে। এই খাদ্য সামগ্রী কতুটুকু পর্যাপ্ত এবং কতদিন চলবে তাও চিন্তার বিষয়। তবে আমি মনে করি, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নেয়া দরকার। তাদের ঘরে খাবারের কোন সংকট আছে কি না এবং শিশুরা তাদের খাদ্য ঠিক মতো খেতে পারছেন কি না? এ বিষয়ে প্রশাসনের একটু নজর দেয়া দরকার।
আসুন দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সরকারের ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করে সুষ্ঠু বন্টনের মাধ্যমে পৌঁছে দেই অনাহারদের কাছে। আমাদের মনে রাখা উচিৎ, দারিদ্র্য হল এমন একটি অর্থনৈতিক অবস্থা, যখন একজন মানুষের জীবনযাত্রার নূন্যতম মান অর্জন এবং সামান্য আয়ের ফলে জীবনধারণের অপরিহার্য দ্রব্যাদি ক্রয় করার সক্ষমতা হারায়। এাণবিতরণ নিয়ে কোনো দুর্নীতির আশ্রয় নিবেন না। করোনায় বড়োই কষ্টে কর্মহীন মানুষ ।