ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয় পাকিস্তানের
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানকে জেতালেন রিজওয়ানের উদ্বোধনী সঙ্গী ও দলের অধিনায়ক বাবর আজম।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি কিউইরা। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮.২ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। টানা দুই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করলো বাবরের দল।
১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লে’র মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান আগের ম্যাচের নায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান (১২ বলে ৪) ও তিন নম্বরে নামা শান মাসুদ (২ বলে ০)। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে খানিক চাপে পড়ে পাকিস্তান।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নেন অধিনায়ক বাবর আজম ও সহ-অধিনায়ক শাদাব খান। দুজনের জুটিতে ৭ ওভারে আসে ৬১ রান। দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার হওয়ার আগে মাত্র ২২ বলে ৩৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে আউট হন শাদাব।
এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ টুকটুক করলেও অপরপ্রান্তে সাবলীল ছিলেন বাবর। মাত্র ৩৩ বল খেলেই তিনি তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাবর।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা কিউই টপঅর্ডার ব্যাটারদের কেউই হাত খুলে খেলতে পারেননি। শেষ দিকে মার্ক চ্যাপম্যান ১৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলায় ১৪৭ রানে পৌঁছায় নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ। দারুণ বোলিং করেন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ।
অভিজ্ঞ ওপেনার মার্টিন গাপটিল থাকার পরেও একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ফিন অ্যালেনকে। তবে কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৮ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রানের গতি বাড়াতে পারেননি কেইন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে।
শেষ পর্যন্ত দুজনের ৮.৪ ওভারের জুটিতে আসে ৬১ রান। সাজঘরে ফেরার আগে কনওয়ে করেন ৩৫ বলে ৩৬ রান, উইলিয়ামসন ৩১ রান করতে খেলেন ৩০ বল। চার নম্বরে নামা গ্লেন ফিলিপসও হাত খুলে খেলতে পারেননি। তিনি ১৭ বলে করেন ১৮ রান।
তবে মার্ক চ্যাপম্যান তিন চার ও দুই ছয়ের মারে ১৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেললে দেড়শ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ দাঁড়ায় কিউইদের। ইনিংসের ১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের বেশি দূরে যাওয়া থেকে আটকে রাখেন হারিস রউফ।
সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় হারিসের শিকার ২ উইকেট। আরেক পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ২০ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ দুই উইকেট নিলেও চার ওভারে খরচ করেছেন ৪৪ রান।